দিল্লির জামা মসজিদের শাহি ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি শনিবার ঘোষণা করলেন, ২৫ মে, সোমবার পালিত হবে ঈদুল ফিতর, যেহেতু শনিবার দেখা যায়নি ঈদের চাঁদ। তিনি জনসাধারণের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন, যেন ঈদের দিনও তাঁরা সাবধানতা অবলম্বন করেন এবং সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে চলেন। "হাত মেলানো বা একে অপরকে জড়িয়ে ধরা এড়িয়ে চলুন। সরকারের নির্দেশিকা মেনে চলা উচিত আমাদের," বলেন বুখারি।
মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব ঈদুল ফিতর দিয়ে শেষ হয় রমজানের পবিত্র মাস, বিশেষ করে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত উপবাস বা রোজা রাখার একমাস। সারা বিশ্বের মুসলিমরা এদিন একে অপরকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান 'ঈদ মোবারক' বলে। 'শাওয়াল' মাসের প্রথম দিনেই পালিত হয় ঈদ। এদিন আর উপবাস রাখার রীতি নেই।
ইসলামের প্রতিটি উৎসবই পালিত হয় লুনার বা চান্দ্র ক্যালেন্ডার মেনে, গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার (আমরা যাকে ইংরেজি ক্যালেন্ডার বলি) মেনে নয়। একমাস ধরে রোজা রাখেন দুনিয়ার সমস্ত মুসলিম, এবং বিশেষ প্রার্থনা করেন। পাশাপাশি দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য এবং টাকাও বিতরণ করেন এই একমাস। দেশ থেকে দেশান্তরে চাঁদ দেখার সময়ে প্রভেদ থাকাটা স্বাভাবিক, ফলে এক্ষেত্রে মানুষ স্থানীয় টাইম জোনের ভিত্তিতে দেওয়া স্থানীয় খবরের আপডেটের ওপরেই ভরসা করে থাকেন।
সাধারণভাবে খুশির উৎসব ঈদ, পরিবার-পরিজন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠার দিন। ঈদের চাঁদ দেখা যাওয়ার পরে পরেই একে অপরকে 'ঈদ মোবারক' জানিয়ে উপহার দেওয়ানেওয়া করা এবং কোলাকুলি করার রীতি রয়েছে। নতুন জামাকাপড় পরে পথে বেরোন মানুষ। তবে এবছর করোনাভাইরাস মহামারী জনিত লকডাউনের কারণে লাগু হয়েছে একাধিক সামাজিক বিধিনিষেধ, ফলত ২০২০ সালে ঈদের চিত্রটাও স্বভাবতই আলাদা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন