গরম পড়েছে, এইসময় সবথেকে বেশি যদি কিছুর প্রয়োজন হয় তবে সেটা হল জল। বাইরে জল ছাড়া বেরনো একেবারেই উচিত নয়। জল গরম হয়ে গেলেও একে ঠান্ডা করা দরকার। অবশ্যই মনে রাখতে হবে, পরিষ্কার জল পান করাই সবথেকে বেশি দরকারী। সারাদিনে কী পরিমাণে জল খাওয়া উচিত এই নিয়ে দ্বিমত রয়েছে, তবে আট গ্লাস জল অবশ্যই পান করা দরকার।
Advertisment
গরমে শরীর শুকিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। অতিরিক্ত ঘামের কারণে প্রয়োজনের থেকে বেশি জল শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। এর ফলে বেশিমাত্রায় জল পান করলেও কোনও ক্ষতি হয় না। ফলের রস কিংবা এই জাতীয় কিছুর থেকেও জলের উপকারিতা অনেকটা বেশি। শুধু জল কিন্তু শরীরের ইমিউনিটি বুস্টিং করতেও সাহায্য করে। আবার অনেক সময় দেখা যায়, এই গরমে ইউরিনারি সমস্যা দেখা যায় শরীরে জলের অভাবে - সেটিকেও কিন্তু পর্যাপ্ত জলের মাধ্যমে কম করা যায়।
কিন্তু কেন খাবেন সারাদিনে আট গ্লাস জল?
দৈহিক তাপমাত্রা বজায় রাখতে গেলে, কিংবা একে ঠান্ডা রাখতে গেলে জলের থেকে ভাল কিছুই নেই। সকালবেলা ঘুম থেকে উঠেই একগ্লাস ঠান্ডা জল পান করলে শরীরের অগ্নি শিথিল অবস্থায় থাকে, প্রদাহের মাত্রা কমায়। তাই এই কাজটি অবশ্যই করুন।
অনেকেই বিনা কারণে মাথা যন্ত্রণায় ভোগেন। এটি কিন্তু পর্যাপ্ত জলের অভাবে হতেই পারে। তাই জলের পরিমাণ নির্দেশ মেনেই পান করা উচিত। শরীরে মিনারেলস এর অভাব দেখা দিলে মাথা ব্যথা হতেই পারে সুতরাং জল অবশ্যই দরকার।
শারীরিক শক্তি ফিরিয়ে দিতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, পেশীর ব্যথা এবং যন্ত্রণা মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। এটি পেশীর ফাইবার তন্তু শুকিয়ে গেলেও হতে পারে তাই জল খুবই প্রয়োজনীয়।
যদি আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকে, তবে জলের খুবই প্রয়োজন। শরীরে জলের অভাব দেখা দিলে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে। এছাড়াও মৌরি কিংবা মিছরি জল এক্ষেত্রে ভাল প্রমাণিত হতে পারে।
ত্বকের জৌলুস ফিরিয়ে দিতে পারে। ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে। অনেক সময় স্কিনে ট্যান এতই বেড়ে যায় যে সানস্ক্রিন ঠিকভাবে কাজ করে না, এই সময় শুধুই এটিই ভাল। জল অবশ্যই পান করতে হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে কিডনির স্টোন কিন্তু ভয়ঙ্কর সমস্যার সৃষ্টি করে। তাই মাথায় রাখতে হবে যে জল ঠিক পরিমাণে না খাওয়া খুবই সমস্যার।