Advertisment

'একলা চলো রে': মহাত্মার স্মরণে শহরে স্ট্যাম্প প্রদর্শনী

প্রতি চার বছর অন্তর আয়োজিত হয় রাজ্যভিত্তিক ফিলাটেলি একজিবিশন। শুধু বাংলা থেকেই নয়, সারা দেশের ফিলাটেলিস্টরা (স্ট্যাম্প সংগ্রহ করা যাঁদের নেশা) আসবেন তাঁদের ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা নানা স্ট্যাম্প নিয়ে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শখের নানা রকমফেরের কথা আমরা প্রায়ই শুনে থাকি। খুব জনপ্রিয় একটি শখ হল ফিলাটেলি - স্ট্যাম্প সংগ্রহ। সারা জীবন ধরে দেশ বিদেশের স্ট্যাম্প নিজের সংগ্রহে রাখাই বহু মানুষের পছন্দের বিষয়। এঁদের নিয়ে একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ভারতীয় ডাক বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ শাখা। আগামী ১৬ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত অ্যাকাডেমি অব ফাইন আর্টসে আয়োজন করা হয়েছে প্রদর্শনীর।

Advertisment

সাধারণত প্রতি চার বছর অন্তর আয়োজিত হয় রাজ্যভিত্তিক ফিলাটেলি একজিবিশন। শুধু বাংলা থেকেই নয়, সারা দেশের ফিলাটেলিস্টরা (স্ট্যাম্প সংগ্রহ করা যাঁদের নেশা) আসবেন তাঁদের ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা নানা স্ট্যাম্প নিয়ে। তবে সবাই যে সবরকম স্ট্যাম্প সংগ্রহ করেন, তাই নয়। স্ট্যাম্প সংগ্রহের ক্ষেত্রে অনেকেই বেছে নেন নির্দিষ্ট কোনও ব্যক্তিত্ব, সময়, ঘটনা ইত্যাদি। এ বছরের প্রদর্শনীর কেন্দ্রীয় ভাবনা জাতির জনকের সার্ধশতবর্ষ উদযাপন। মহাত্মা গান্ধীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রদর্শনীর নাম 'একলা চলো রে'।

আরও পড়ুন, ফোন নম্বরগুলো মনে থাকে না আর, মিসড কলও আসে না

স্ট্যাম্প প্রদর্শনীতে প্রতিযোগিতা বিভাগও রয়েছে। বিজয়ীরা অংশ নিতে পারবেন জাতীয় ফিলাটেলি প্রতিযোগিতায়। জাতীয় স্তর থেকে বাছাইয়ের পর প্রতিযোগীরা অংশ নিতে পারেন আন্তর্জাতিক স্তরের প্রতিযোগিতাতেও। আজকের প্রজন্মের মধ্যে স্ট্যাম্প সংগ্রহের উৎসাহ বাড়াতে কচিকাঁচাদের জন্যেও থাকছে একগুচ্ছ প্রতিযোগিতা। এই ধরনের প্রদর্শনীর প্রয়োজনীয়তা কী, প্রশ্নের উত্তরে বাংলার ডাক বিভাগের চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল গৌতম ভট্টাচার্য জানালেন, " এখন  যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে চিঠির প্রচলন প্রায় উঠেই গিয়েছে, এটা ভীষণ সত্যি। কিন্তু ফিলাটেলি একটা রাজকীয় শখ। এটার সঙ্গে বিশাল পড়াশোনা জড়িয়ে রয়েছে। জানার এই আগ্রহটা আমরা ছোটদের মধ্যে সঞ্চারিত করতে চাই। স্ট্যাম্প সংগ্রহ করতে গিয়ে একেকটা সময় এবং একেকটা বিষয়ের ওপর অগাধ জ্ঞান জন্মায়, এবং সেটা আশেপাশের অনেক মানুষকে প্রভাবিত করে"।

kolkata
Advertisment