এন্ডেমিক, এপিডেমিক এবং প্যান্ডেমিকের পার্থক্য জানেন?

নিজেকে সতর্কে রাখুন, রোগ থেকে দূরে থাকুন

নিজেকে সতর্কে রাখুন, রোগ থেকে দূরে থাকুন

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

প্যান্ডেমিক শব্দটা এখন বেশিরভাগ মানুষের কাছেই পরিচিত। বিগত দুটো বছরের সময় বলে দিচ্ছে গোটা পৃথিবী জুড়ে শুধুই মহামারীর রেশ। গোটা বিশ্বের এমন কোনও স্থান বাদ নেই যেখানে মহামারীর বিন্দু হদিশ মেলে নি! নতুন ভাইরাসের কারণেও মানবজীবন ফের সমস্যার কবলে। আবার বিশ্বজুড়ে তো বটেই তবে দেশজুড়ে বাড়ছে এর সংক্রমণ। 

Advertisment

রোগের ভয়াবহতা শুধুই সময় কিংবা মাত্রার ওপর নির্ভর করে না। এর নামেও রয়েছে বেশ কিছু তথ্য। সাধারণত যেকোনও ভাইরাস কিংবা রোগের পূর্ব লক্ষণ, উপসর্গ, ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা এবং দৈহিক প্রভাব দেখেই একে চিহ্নিত করা হয় নানানভাবে। এন্ডেমিক, এপিডেমিক এবং প্যান্ডেমিক এই তিন ধরনের ভাগই শিরোধার্য। তবে এর মধ্যেও বেশ কিছু বিভেদ রয়েছে। 

এন্ডেমিক : এটি স্থানীয় পরিসর হিসেবেই চিহ্নিত হতে পারে। অর্থাৎ যখন নির্দিষ্ট কোনও অঞ্চলেই একটা রোগ নিয়মিত ভাবে ঘটতে থাকে। যখন রোগ স্থানীয় হয়ে ওঠে। এতে অসুস্থতার সংখ্যা স্থির থাকে। এটির ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশ কম, সময়ের সঙ্গে বাড়বে না। বেশিরভাগ সময় দেখা যায়, একই সংখ্যক লোক বারবার আক্রান্ত হয়। যদিও করোনা ভাইরাসের প্রাক্কালে এটিকে এন্ডেমিক হিসেবেই বিবেচনা করা হয় তবে এখন সেই ধারণা একেবারেই পরবর্তী এটি কতটা ভয়ঙ্কর পরিসরে সংক্রমণ ঘটাতে পারে সেই সম্পর্কে সবাই জানেন। 

এপিডেমিক :  এটিও খুব একটা বেশি জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে না। খুব বেশি হলেও দেশের অন্দরে এর প্রভাব দেখা গেলেও সীমিত সময়ের জন্য অস্বাভাবিক হারে একটি আক্রান্ত করে মানুষকে। এতে ভাইরাসের মিউটেশন ভালই থাকে। যখন কোনও নির্দিষ্ট অঞ্চলে রোগের মাত্রা অপ্রত্যাশিত মোড় নেয় তখন তাকে মহামারী বলে। এটির প্রাদুর্ভাব প্রথম থেকেই লক্ষে আসে। 

Advertisment

যখন কোনও ভাইরাসের প্যথজেনের মাত্রা অস্বাভাবিক বেড়ে যায়, এক ব্যক্তি থেকে অন্যজনের সংক্রমণের ভয় থাকে ঠিক তখনই এটিকে এপিডেমিক বলা হয়। এইরকম একটি রোগ গুটিবসন্ত অথবা স্প্যানিশ ফ্লু এবং কুষ্ঠ। 

প্যান্ডেমিক : বিশ্বব্যাপী যখন কোনও রোগ ছড়িয়ে যায়, তখন তাকে প্যান্ডেমিক বলে। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ করোনা ভাইরাস। এটি সহজ ভাষায় বিশ্বব্যাপী মহামারী। বিভিন্ন দেশকে একজোট হয়ে নিজেদের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ অনুযায়ী নিজেদেরকে সুস্থ রাখতে হবে। 

সাধারণত এই মহামারী ঘটে নতুন উদীয়মান প্যথজেনের কারণে। আবার সিডিসি এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে প্রাণীদেহ থেকে মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে এমন রোগ মহামারী হতেই পারে। যেমন প্লেগ! নতুন ভাইরাসের টিকা সহজে পাওয়া যায় না, তাই সংক্রমণ হতেই পারে।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Pandemic Endemic Epidemic COVID-19 virus