New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/11/WhatsApp-Image-2018-11-03-at-3.16.50-PM.jpeg)
পুজো ছাড়াও বছর ভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে শান্তি সঙ্ঘ। ইট কাঠ পাথরের জঞ্জালে ঘেরা শহরকে একটু সবুজ বানাতে এরা নাছোড়।
৬৯ বছরে পড়ল তাঁদের শ্যামা পুজো। বেহালার বড়িশা শান্তি সঙ্ঘের পুজো একটু অন্যরকম। পুজোর উন্মাদনা রয়েছে, আনন্দ রয়েছে, কিন্তু তার চেয়েও বেশি যেটা রয়েছে, পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা। পরিবেশ ভাবনাকে মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে এদের থিম। এ বছরের থিম জল সংরক্ষণ।
সেচের কাজে বৃষ্টির জল ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তাকে মাথায় রেখেই ২০১৮-এর কালী পুজোর থিম পরিকল্পনা করেছেন শিল্পী অরুণ সরকার। কোন কোন পদ্ধতিতে জল সংরক্ষণ করা যায়, তা দেখানো হয়েছে মণ্ডপে। মণ্ডপ ভাবনায় শিল্পী রাম নারায়ণ রায়। এদের পুজোর বৈশিষ্ট্য হল, যা কিছু দিয়ে মন্ডপ তৈরি হয়, সবই পুনঃব্যবহার যোগ্য (রিসাইকেবল)। এবার মন্ডপ তৈরি হয়েছে বাঁশ দিয়ে। আলোক সজ্জাও হয়েছে বাঁশের ওপরে। মন্ডপ সজ্জার কাজে ব্যবহার করা হয়েছে উইন্ড ফ্যান, টারবাইন ইত্যাদি।
ডায়মন্ড হারবার রোডের ওপর শীল পাড়া বাস স্টপের কাছেই এক পার্কের মধ্যে মন্ডপ তৈরি হয়েছে বড়িশা শান্তি সঙ্ঘের। সেক্রেটারি রাজেশ দাস জানালেন, এখন তাদের সদস্য সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। পুজো ছাড়াও বছর ভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে শান্তি সঙ্ঘ। ইট কাঠ পাথরের জঞ্জালে ঘেরা শহরকে একটু সবুজ বানাতে এরা নাছোড়।
মণ্ডপ তৈরির কাজ পুরোটাই হয়েছে ক্লাবে। প্রায় মাস তিনেক ধরে চলেছে প্রস্তুতি। অমাবস্যায় শ্যামা কালীর পুজো করার চল রয়েছে। শ্যামা মা-এর মূর্তির পেছনে আগুনের শিখা রাখার রীতি চলে আসছে শেষ ৬৯ বছর ধরেই। আগুনকে শক্তির প্রতীক রূপেই দেখানো হয় বড়িশা শান্তি সঙ্ঘের পুজোয়।
থিম পুজো, আলোর রোশনাইয়ে যখন মশগুল শহর, তখন পরিবেশ বান্ধব এমন উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবি রাখে।