মহামারি কিন্তু আদৌ চলে যায়নি। আপনার চারপাশে এমন অনেক মানুষ আছেন যারা এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত। এমনকি মৃদু উপসর্গ বা উপসর্গহীন হয়ে অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন এদিক ওদিক। তার মধ্যেই পুজোয় বাঁধন ছাড়া আনন্দের পরে করোনা তৃতীয় ঢেউ নিশ্বাস ফেলছে ঘাড়ের উপর।
যদিও বা নিয়ম অনুযায়ী দুটি ডোজের ব্যক্তিরাই পুজো প্যান্ডেলে প্রবেশের অনুমতি পাওয়ার কথা ছিল কিন্তু সেটি আদতে কতটা কার্যকরী হয়েছে এই নিয়ে বেজায় সন্দেহ। যথারীতি অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এবং যথারীতি পুজো পরবর্তী সময়ে দাঁড়িয়ে এমনকি দীর্ঘদিন বাড়িতে থাকার পরেও মানুষের আর মন টিকছে না। ছোট খাটো ট্রিপ প্ল্যান করছেন অনেকেই। তবে হ্যাঁ! নিজের খেয়াল নিজেকেই রাখতে হবে। ভ্যাকসিন গ্রহণ যেমন আপনার নিজের জন্য বাধ্যতামূলক সেরকমই আপনার বাড়িতে শিশু থাকলে তাকে অন্তত প্রথম ডোজ না দিয়ে বাইরে কোথাও যাবেন না।
কোভিড পরবর্তীতে বেশ কিছু নিয়ম বিধি যেমন মেনে চলতে হবে তেমনই সঙ্গে রাখতে হবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র। তবেই কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণ সম্ভব। উইজ কেয়ারের প্রতিষ্ঠাতা মণীষা রীতেশ ধিংড়া বেশ কিছু অত্যাবশকীয় জিনিসের উল্লেখ করেছেন যেগুলি সঙ্গে রাখলেই কিন্তু আপনি ভাইরাসের ছোবল থেকে বাঁচতে পারেন। সেগুলি কী কী?
সারফেস জীবাণুনাশক শিল্ড: ট্রেন বাস কিংবা যেখানেই আপনি যাত্রা করেন না কেন এটি সঙ্গে রাখতেই হবে। এখন সর্বত্রই নিজস্ব পরিসরে স্যানিটাইজ করা হয় তারপরেও, নিজ দায়িত্বে আগে থেকেই একবার অন্তত সেই জায়গায় স্প্রে করে নিতে হবে। বসার জায়গা হোক কিংবা হাতল নানান জীবাণু, ময়লা এবং ভাইরাস ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে কমাতে এটি কিন্তু লাগবেই। স্যানিটাইজার হাত পরিষ্কার করতে কাজে লাগে তবে পণ্যের জীবানুনাশ করতে এটি বেশ কার্যকরী।
হ্যান্ড স্যানিটাইজিং ওয়াইপস: মূলত, হোটেল রেস্তরাঁ, জিম এসব জায়গায় নানান ধরনের হাতের ক্রিয়াকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকে সকলেই। এই ওয়াইপসগুলি হাতের জীবাণু ভালভাবেই মেরে ফেলতে সক্ষম। ফলে আপনার নিজেরই সন্তুষ্টি। হাতের সর্বত্রই ভাল করে এটি দিয়ে পরিষ্কার করুন তবেই স্বাস্থ্যকর থাকবেন।
স্যানিটাইজার স্প্রে: এটি আপনার সঙ্গে নিতে ভুলবেন না। জিম, যোগা ক্লাস থেকে স্পা কিংবা অফিস এমনকি শিশুদের ক্ষেত্রে স্কুলও। এই স্যানিটাইজার স্প্রে কিন্তু আপনার সর্ব বিপদের সঙ্গী। এটি ছিটিয়ে যেমন আপনি এদিক ওদিক বসতেও পারেন। তেমনই এটি দিয়ে আপনি হাত পরিস্কার করতে পারেন।
ফেব্রিক জীবাণুনাশক স্প্রে: আপনার ত্বক শুধু ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সংস্পর্শে আসে তা নয়, আপনার পোশাকেরও ভাইরাসের সংস্পর্শে আশার লক্ষণ রয়েছে। বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন। নিয়মিত ধোয়া ভাল, কিন্তু সুরক্ষার একটি অতিরিক্ত স্তর যোগ করার জন্য, আপনার নতুন কাপড় ধোয়ার পর ফেব্রিক স্প্রে করুন। এটি ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করে যা অন্যথায় রুটিন ওয়াশিং প্রক্রিয়ার সময় নির্মূল হয় না।
ভুলে যাবেন না, আপনি এখনও করোনাবিধির আওতায়। তাই নিজের প্রয়োজনে নিজেকে সুস্থ রাখুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন