এখন যা কিছুই করা হোক না কেন শরীর যেন একেবারেই টাটা বাইবাই বলে দেওয়ার মত। কিছুদিন গেলেই ফের সমস্যা দেখতে শুরু করে। আর সেইসঙ্গে মানুষের নিজেকে সুস্থ রাখার তৎপরতা আরও বেশি তাকে মানসিক ভাবে দুর্বল করে তুলেছে। এরওর কথা শুনে এমন অনেকেই আছেন কত কিছুই না খেয়ে দেখছেন অথবা চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু এইসবের বিষয়ে সবথেকে আগে দরকার একজন বিশেষজ্ঞের মতামত।
Advertisment
পুষ্টিবিদ রাশি চৌধুরীর বক্তব্য, না জেনেই যেগুলি আমাদের শরীরে প্রয়োজনীয় নয় এমন খাবারও আমরা খাচ্ছি। এবং নিজেকে বদলাতে গেলে অবশ্যই খাবার দাবারে পরিবর্তন আনা জরুরি। আসলেই কোন ধরনের খাবার খেলে বেশি কাজে দেবে তেমন কিছুই খাওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন প্রত্যেকের নিজস্ব লাইফস্টাইল রয়েছে, এবং সেই অনুপাতে খাওয়াদাওয়া করা আবশ্যক। প্রসঙ্গেই কোনটি আমাদের জন্য জরুরি এবং কোনটি জরুরি নয় সেই নিয়েই ধারণা দিয়েছেন তিনি।
সুস্থ থাকার জন্য যে বিষয়গুলি একেবারেই জরুরি নয় তার মধ্যে ;
ভেগান ডায়েট অর্থাৎ শাক সবজির ওপরে বেঁচে থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। নির্দ্বিধায় আমিষ খাওয়া দরকারি।
প্রতিদিন পুষ্টিকর কোনও জুস অথবা ফলের রস খেতেই হবে এমন কোনও কথা নেই।
সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কিংবা মেডিকেটেড খাবার খেতে হবে এই বাধ্যবাধকতা নেই।
একেবারেই চিনি কিংবা স্বল্প ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না এই তথ্য ভুল। কিছু পরিমাণে এটিও শরীরের পক্ষে দরকারি।
এমন কোনও অর্থ নেই যে প্রতিদিন অত্যধিক শরীরচর্চা কিংবা ব্যায়াম আপনাকে করতেই হবে। নিজেকে কষ্ট দিয়ে এমন কিছু করার দরকার নেই।
যে বিষয়গুলি একদমই প্রয়োজন শরীরসুস্থ রাখতে গেলে সেগুলির মধ্যে :
খাবারের সঙ্গে সঠিক পরিমাণে ফ্যাট অবশ্যই থাকতে হবে। ভাল ফ্যাট শরীরে শক্তি জোগায়।
মানসিক ভাবে খাবারের ব্যাপারে নিজেকে এগিয়ে রাখতে হবে। মন থেকে খাবার নিয়ে দ্বিধাবোধ না থাকলে কোনও সমস্যা নেই।
শরীরের সার্কেডিয়ান রিদম অনুযায়ী কখন কী প্রয়োজন সেই সম্পর্কে নিজের জ্ঞান থাকা আবশ্যক। সঠিক সময়ে ঘুম এবং খাওয়া খুবই দরকারি।
যে কাজটি করে আপনার আনন্দ মেলে, সেই কাজটিই করুন, নিজেকে মন থেকে ভাল রাখা খুব দরকার।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন