পরীক্ষার আগে যত না চাপ থাকে, তাঁর থেকে বেশি চাপ তাহলে রেজাল্টের ক্ষেত্রে। যত দিন ঘনিয়ে আসতে থাকে ততই যেন মুশকিল। না রাতে ঘুম হয় না গলা দিয়ে খাবার নামে, রেজাল্টের আগে শরীর খারাপ সঙ্গে মন খারাপ নেহাতই সাধারণ ঘটনা।
কিন্তু এগুলো একদিক দিয়ে শরীরের পক্ষে মোটেই ভাল না। অতিরিক্ত ভয় এবং চিন্তা মানুষকে নানানভাবে প্রভাবিত করতে পারে। যেমন? হাই প্রেশারের পাশাপাশি, শরীরে আগমন হতে পারে নানা রোগের। বিশেষ করে রাতজাগা এখন বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীদের অভ্যাস। সুতরাং সেই দিকটাও মাথায় রাখতে হবে।
উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট মানেই ভাগ্য নির্ধারণ। পরবর্তীতে কোন লাইনে কিভাবে পড়াশুনা করা হবে সেই নিয়েও চাপ থাকে। কোন বিষয়ে ভাল নম্বর হল তাঁর ওপর ভিত্তি করেই কলেজে চান্স পাওয়া। ফলে অতিরিক্ত চাপ থাকবেই। তাঁর সঙ্গে যত রেজাল্টের দিন এগিয়ে আসবে মনে পড়ে পুরোনো ভুল। কোন প্রশ্নের উত্তরে কে কী লিখেছে সেটাই আরও লোম খাড়া করে দেবে।
কীভাবে মন ভাল রাখবে ছাত্র ছাত্রীরা?
১. রেজাল্টের আগে বেশি পড়াশোনা নিয়ে না ভাবলেই ভাল। যা হয়েছে হয়ে গিয়েছে। তাই, অদ্ভুত চিন্তা ভাবনা না আনলেই ভাল।
২. মন ডাইভার্ট করে রাখলেই ভাল। যারা গল্পের বই পড়তে ভালবাসেন, তাঁদের বইয়ে মন রাখা উচিত। আর যারা সিনেমাপ্রেমী, তারা সিনেমা দেখতে যেতে পারেন।
৩. চাপ অনুভব করলে, বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করাও খুব ভাল অপশন। যদিও, তাতে কোন প্রশ্নের কী উত্তর লিখেছিলেন সেটা নিয়ে কথা হওয়া উচিত না।
৪. সম্ভব হলে আজ থেকেই মেডিটেশন শুরু করে দিন। এতে মনের উপর চাপ কম থাকে।
৫. সূর্য নমস্কার শরীরের পাশাপাশি মনের অসুখ সারাতে কাজে লাগে। তাই এটি অভ্যাস করুন।
৬. যেহেতু অতিরিক্ত গরম, ফলে মাথা গরম হওয়া খুব স্বাভাবিক। অত্যধিক ভাবনা চিন্তা করাও স্বাভাবিক। তাই, সম্ভব হলে হালকা পাতলা খাওয়াদাওয়া করুন।