মানুষের কোনও ভরসা নেই, আজ ভাল আছেন তো কাল শরীরের অবস্থা খুব খারাপ। আবার অনেক সময় শুধু চিকিৎসার অভাবেই অনেক রোগ ধরা পড়ে না। কেউ কেউ মনে করেন দিব্য ভাল আছেন, সামান্য ক্লান্তি এবং শরীরে কষ্ট অনুভব হলেও তারা কিছুই বলেন না। এতেই কিন্তু মুশকিল, তার কারণ গুপ্ত রোগের কারণেই বেশিরভাগ মানুষের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সৃষ্টি হয় যেটি পরবর্তীতে আয়ত্বে আনা খুব মুশকিল হয়ে পড়ে।
Advertisment
শরীরের নিয়মিত চেক আপ কিন্তু ভীষণ জরুরী। তার কারণ বর্তমানের জীবনযাত্রাকে মাথায় রেখে, হাই ব্লাড প্রেসার, হাই ব্লাড সুগার খুব স্বাভাবিক বিষয়। অনেক সময় এইগুলির মাত্রা ওষুধের অভাবে বেড়ে গেলে কিন্তু ভীষণ বিপদ। অনেকেই আছেন ডায়েট মেনে চলেন, খাবার দাবার ঠিক করে খান কিন্তু শরীরের দিকে আর নজর দিতে পারেন না। আদৌ এর কোনও সাপ্লিমেন্ট অথবা ওষুধের প্রয়োজন আছে কিনা সেটিও অজানা।
সবথেকে আসল কথা, এখন রোগের কোনও বয়স নেই! অল্প বয়সেই হার্টের সমস্যা কিংবা ব্লাড সুগার ভীষণ ভাবে মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করছে। তার সঙ্গেই স্ট্রেস, এই কারণেও বিশাল বিপত্তি। অন্তত মাসে দুবার প্রেসার চেক করানো, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্লাড টেস্ট করানোর প্রয়োজনীয়তা আছে।
চিকিৎসকরা বলছেন, যদি কেউ নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা করান, তবে বেশ কিছু বিষয়ে আপডেট রাখা যায়। এই যেমন,
ব্লাড সুগার এবং কোলেস্টেরল - তার কারণ, এই দুটির থেকেই যত রোগের সূত্রপাত। এবং পরবর্তীতে নানা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে এর থেকে - শরীরে অমায়িক ক্লান্তি, জলের অভাব, সোডিয়াম পটাশিয়াম এর মাত্রা সবকিছুই দেখে নেওয়া যায়।
দ্বিতীয়ত, অনেক সময় শারীরিক পরীক্ষার অভাবেই ক্যানসারের মত মারণ রোগ কিন্তু দীর্ঘদিন চিকিৎসা থেকে দূরে থাকে। আর সঠিক সময় ধরা না পড়লেই কিন্তু মুশকিল। তখন মানুষকে বাঁচানো সম্ভব হয় না।
তৃতীয়ত, শরীরে আরও কোনও ওষুধ কিংবা সাপ্লিমেন্ট প্রয়োজন কিনা। আদৌ ভিটামিনের মাত্রা ঠিক আছে কিনা সেটা বোঝা যায় এর মাধ্যমেই। অনেক সময় দেখা যায়, আয়রন কিংবা ক্যালসিয়াম নারীদেহে খুব কমে যায় তখন কিন্তু শরীরে এসবের প্রয়োজন হয়ে পরে। তাই অবশ্যই নিয়ম করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।