সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে রাত্রে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত, কফি ছাড়া অনেকেরই দিন পার হয়না। কাজের ফাঁকে হোক কিংবা অবসরে মাঝে মধ্যেই কফির জন্য মনটা হুহু করে ওঠে। তবে অতিরিক্ত কফি খেলে কিন্তু শারীরিক ক্ষতি হতে পারে।
Advertisment
অত্যধিক মাত্রায় কফি বা ক্যাফেইন একরকম নেশার মত কাজ করে। সময় সময়ে না পেলে মুড সুইং হওয়াও খুব স্বাভাবিক। তবে আয়ত্বে আনতে হবে এই লক্ষণ। আপনার জানা দরকার কি পরিমাণ কফি আপনার সারাদিনে খাওয়া উচিত। দৈনিক পানীয় হিসেবে কফি কি পরিমাণে গ্রহণ করা উচিত সেই প্রসঙ্গেই ধারণা দিয়েছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ অপর্ণা পদ্মনাভন। সচেতনতার কারণ প্রসঙ্গে বলেন এটি অনেক দিনের অভ্যাস, সহজেই বর্জন করা যাবে না। তবে ধীরে ধীরে সতর্ক হওয়া উচিত। তবে প্রথমেই নিজেকে মানসিক ভাবে বোঝাতে হবে নিজের প্রতিদিনের অভ্যাস থেকেই কমিয়ে আনতে হবে কফি খাওয়ার বিষয়টি।
যে বিষয়গুলি তিনি নজডর দিতে বলেন তার মধ্যে,
• খালি পেটে একেবারেই খাওয়া চলবে না। কফি খালি পেটে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। • ব্ল্যাক কফি সহ্য না হলে খাবেন না, দুধ দিয়ে মিশিয়ে তবেই খান। • কফির শুষ্কতা কম করতে, এক চামচ ঘি যোগ করুন। • দুপুর তিনটের পর থেকে ঘুমের অসুবিধা এড়াতে কফি খাওয়া বন্ধ করুন। • মেনোপজ কিংবা চর্মরোগ এবং অস্থিরতা প্রসঙ্গে কফি খাওয়া এড়িয়ে চলুন। • কফি ভীষণ মাত্রায় হজমের সমস্যা ঘটায়। এর থেকে অম্বল এবং পাচনতন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করে। এর থেকে অনেকেরই ডায়রিয়া আমাশয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। • ঘুমের বিলুপ্তি ঘটে। সহজে ঘুম আসে না এবং বায়ুচড়ার লক্ষণ দেখা যায়। • পেশীকে ক্ষতিগ্রস্ত করে কফি। রক্ত প্রবাহে ক্ষতিকারক তন্তু প্রবেশ করে কিডনি বিকল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তার সঙ্গে অন্যান্য সমস্যাও হয়।
তাই শারীরিক সতর্কতার উপরে গিয়ে কফি খাওয়া বন্ধ করুন, সুস্থ থাকবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন