/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/04/Sitaramdas_Omkarnath.jpg)
বাংলা তথা ভারতের সাধকদের মধ্যে এক উল্লেখযোগ্য সাধক ছিলেন সীতারামদাস ওঙ্কারনাথ। ১৮৯১ খ্রিস্টাব্দে, বাংলার ১২৯৮ সনের ৬ ফাল্গুন বুধবার সকাল ৮টা ১ মিনিটে কৃষ্ণাপঞ্চমী তিথিতে তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন। হুগলি জেলার ডুমুরদহে ছিল তাঁর বাড়ি। বাবার নাম প্রাণহরি চট্টোপাধ্যায়। মায়ের নাম মালাবতী দেবী। বাবা ছেলের নাম রেখেছিলেন প্রবোধচন্দ্র।
ছোট থেকেই প্রবোধচন্দ্রের লেখাপড়ায় বিশেষ আগ্রহ ছিল। স্মৃতিভূষণ দাশরথী মুখোপাধ্যায়ের চতুষ্পাঠীতে লেখাপড়া করছিলেন। সেই সময়েই তাঁর বাবা মারা যান। এরপর তাঁর যখন ২১ বছর বয়স, সেই সময় ১৯১২ খ্রিস্টাব্দে, বাংলার ১৩১৯ সনের ২৯ পৌষ মকর সংক্রান্তি তিথিতে গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী নদীর সঙ্গমস্থল ত্রিবেণীতে গুরু দাশরথী মুখোপাধ্যায় 'রামনাম' মন্ত্রে প্রবোধচন্দ্রকে দীক্ষাদান করেছিলেন। তারপরই প্রবোধচন্দ্রের নতুন নাম হয়েছিল, 'সীতারাম'।
এই সময় নামের সাধনায় মগ্ন হন 'সীতারাম'। আত্মীয়রা তাঁকে সংসারে বেঁধে রাখতে দিগসুই গ্রামের ঠাকুরচরণ ভট্টাচার্যের মেয়ে সিদ্ধেশ্বরী দেবীর সঙ্গে বিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁদের দুই ছেলে হয়- রঘুনাথ ও রাধানাথ। জানকী নামে এক কন্যাসন্তানও জন্মায়। এরপরই সংসার ছেড়ে ভারত পরিক্রমায় বেরিয়ে পড়েন সীতারাম। ১৯৩৬ সালের পৌষ মাসে ফিরে আসেন ত্রিবেণীতে। সেখানে একটি মঙ্গলঘট স্থাপন করেন। এরপর বহির্বাস ত্যাগ করে কৌপীন ধারণ করে ফিরে আসেন ডুমুরদহের জন্মভিটেতে। পরিচিত হন শ্রীশ্রী ঠাকুর সীতারামদাস ওঙ্কারনাথ নামে।
আরও পড়ুন- নীল ষষ্ঠীর সময়সূচি, উপকরণ সামগ্ৰী ও পূজা পদ্ধতি
তাঁর অলৌকিক শক্তির কথা শুনে ডুমুরদহে শুরু হয় ভক্তদের আনাগোনা। তিনি দীক্ষা দেওয়া শুরু করেন। ধর্মের বাণী প্রচারের পাশাপাশি ১৫০টি বই লিখেছেন। নানা ভাষায় ১৩টি পত্রপত্রিকা প্রকাশ করেছেন। ১৯৮২ সালের ৫ ডিসেম্বর, রবিবার রাত ১টা ২৫ নাগাদ ৯১ বছর বয়সে তিনি প্রয়াত হন। বরানগরে বিটি রোডের ধারে ডানলপ মোড়ের কাছেই তিনি তৈরি করে গিয়েছেন বিশাল আকারের মহামিলন মঠ। এছাড়াও তাঁর নামে রয়েছে মঠের মধ্যেই ওঙ্কারনাথ মিশন সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। পাশাপাশি রয়েছে বৈদিক বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয় বা কলেজ। রয়েছে জ্যোতিষ চর্চাকেন্দ্রও।