Advertisment

বিদ্যা থেকে সন্তানলাভ কিংবা রোগমুক্তি, নাচিন্দার জাগ্রত শীতলা মন্দির ভক্তদের বল, ভরসা

অক্ষয় তৃতীয়ার দিন হয় বিশেষ উৎসব। চলে, ১৫ দিন ধরে মেলা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NACHINDA SHITALA TEMPLE

পূর্ব মেদিনীপুরের নাচিন্দায় রয়েছে জাগ্রত শীতলা মন্দির। এই মন্দিরের এতটাই খ্যাতি যে দূর-দূরান্ত থেকে ভক্তরা এসে হাজির হন ইচ্ছাপূরণের ডালি নিয়ে। কথিত আছে, শুরু থেকে এই মন্দির ঘিরে চলছে নানা অলৌকিক কাহিনি। যার শুরুটা হয়েছিল ঝাঁপি নামে এক বৃদ্ধাকে ঘিরে।

Advertisment

হামেশাই নানা রোগে ভোগা ওই বৃদ্ধাকে দেবী শীতলা স্বপ্নে দেখা দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, চুপচাপ শুয়ে না-থাকতে। প্রতিদিন দেবীর পুজো করতে। বাড়ির পাশের পুকুরে স্নান করে একটা গাছের নীচে ঘট স্থাপন করতে। একইসঙ্গে দেবী জানিয়ে দিয়েছিলেন, এইখানে তাঁর পুজো করলে ভক্তরা রোগ থেকে মুক্তি পাবে। সন্তানহীনরা সন্তান লাভ করবেন। বিদ্যার্থীরা শিক্ষালাভ করবে।

সেই স্বপ্নের নির্দেশ অনুযায়ী, ওই বৃদ্ধা যাবতীয় আচার-আচরণ পালন করেন। দিনটি ছিল অক্ষয় তৃতীয়া। সেই থেকেই প্রতিবছর অক্ষয় তৃতীয়ার দিন নাচিন্দার এই মন্দির প্রতিষ্ঠাদিবস পালন করে। এজন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। যাতে অসংখ্য ভক্ত ভিড় করেন। যদিও সারাবছরই এই মন্দিরে ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে। তবে, অক্ষয় তৃতীয়ার সময়টায় এখানে বিশেষ পুজোপাঠ হয়। সঙ্গে ১৫ দিন ধরে মেলাও চলে।

ভক্তদের ধারণা, দেবী শীতলা তাঁদের মধ্যেই এই মন্দিরের আশপাশে ঘুরে বেড়ান। একবার তিনি নাকি বিবাহিত মহিলার বেশে শাঁখারির থেকে শাঁখাও পরেছিলেন। আবার শোনা যায়, চার জন ক্লান্ত পথিককে মন্দির চত্বরে আশ্রয় দিয়ে রেঁধে খাইয়েছিলেন। সেই নিয়ে স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন পূজারিকে। স্বপ্নে বলেছিলেন, ওই চার জনের জন্য রাঁধতে গিয়ে তাঁর হাত পুড়ে গিয়েছে। পুরোহিত গিয়ে দেখতে পান, দেবীমূর্তির হাতে পোড়া দাগ। পাশাপাশি, দেবীর শাড়িতে রান্নার কালির দাগ।

আরও পড়ুন- বেহালার জাগ্রত শীতলা মন্দির, দেবীর মাহাত্ম্যে নির্মূল হয় রোগ

সেই থেকে ওই চার জনও নাচিন্দার দেবী শীতলার ভক্ত হয়ে যান। এই মন্দিরে ভক্তরা প্রতিদিনই দেবীকে নিবেদনের জন্য খাবার নিয়ে আসেন। দেবীর কাছে নাকি যা মানত করা হয়, তাই পূরণ হয়। এই বিশ্বাস থেকে প্রতিদিন অসংখ্য ভক্ত ভিড় করেন নাচিন্দার এই মন্দিরে।

Durgapuja pujo Temple
Advertisment