Advertisment

ঘরের কাছেই শতবর্ষ প্রাচীন শনি মন্দির, মনস্কামনা পূরণ করতে যান ভক্তরা

এখানে বজরংবলীর মূর্তিও আছে। তিনিও অত্যন্ত জাগ্রত বলেই বিশ্বাস স্থানীয় বাসিন্দা ও দূর-দূরান্তের ভক্তদের।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Shani_Dham

এই বাংলাতেই রয়েছে বহু বিখ্যাত মন্দির। কিন্তু, সেসব কথা সবসময় সব শ্রেণির ভক্তরা জানতে পারেন না। কারণ, বেশিরভাগ ভক্তই নানা কারণে অপরকে এই সব জাগ্রত মন্দিরের কথা বলতে চান না। কারণ, অনেক মানুষই আছেন, যাঁরা নিজেরা মনেপ্রাণে ঈশ্বরে বিশ্বাস রাখেন। কিন্তু, অপরে সেসব নিয়ে বলতে গেলেই তাঁকে বিজ্ঞান, আধুনিকতা শিখিয়ে দেন। আর, বোঝানোর চেষ্টা করেন যে সেই ভক্ত একদম বোকা। তাই, তিনি ওই মন্দিরকে জাগ্রত বলছেন।

Advertisment

এসব দেখে তিতিবিরক্ত হয়ে অধিকাংশ ভক্তই তাই মনে করেন, অনেক হয়েছে। আর দরকার নেই। ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়ে কী হবে? বরং, নিজের চরকায় তেল দিই। সেই কারণেই তাঁরা অন্য কাউকে আর এই সব জাগ্রত মন্দিরের ব্যাপারে কিছুই বলেন না। তাই বলে সেই সব মন্দিরের গুরুত্ব বা তার প্রভাব তো কোনওমতেই খাটো হয়ে যায় না। এরকমই এক সুপ্রাচীন জাগ্রত শনি মন্দির রয়েছে রাজ্যের খনি শহর রানিগঞ্জে। যাকে স্থানীয় বাসিন্দারা এককথায় ডাকেন 'শনি ধাম' নামে।

publive-image

ঠিক কতটা প্রাচীন এই মন্দির? স্থানীয় ভক্তদের দাবি, এই মন্দির একশো বছরের পুরোনো। স্থানীয় বাসিন্দাদের আশা ও ভরসার প্রতীক এই মন্দির। যেখানে বজরংবলীর মূর্তিও রয়েছে। তা-ও অত্যন্ত জাগ্রত। ফলে, শনি ও মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই মন্দির তিলধারণের জায়গা থাকে না। বিরাট লাইন পড়ে যায় ভক্তদের। প্রায় কয়েকশো ভক্ত লাইন দেন পুজো দেওয়ার জন্য। তাঁরা শনিদেবকে তেল দেন। কারণ, শনিদেবকে তেল দান করা পুজোর একটা রীতি।

আরও পড়ুন- জাগ্রত হাজার হাত কালী, প্রার্থনা করলে ফেরান না দেবী, বিশ্বাস ভক্তদের

কোথায় রয়েছে এই জাগ্রত শনি মন্দির? রানিগঞ্জের এনএসবি রোডের ওপরে দেখা মিলবে এই মন্দিরের। একদমই শহরের মধ্যে। তার ওপর ভক্তদের সমস্যা মিটছে। তাঁদের ঘনিষ্ঠরাও এখানে ছুটে আসছেন। তাই খনি শহরে যে কেউ এই মন্দিরের রাস্তা দেখিয়ে দিতে পারবেন। মন্দিরের ঠিক সামনেই লেখা আছে 'শনি ধাম'। সকালের দিকটা একটু হলেও ফাঁকা থাকে। ভক্তের সংখ্যা কম থাকে। সেই সময় পুরোহিতের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলার সুযোগও পান এখানকার ভক্তরা। পাশাপাশি, শান্তিতে পুজোও দেওয়া যায়।

pujo Temple Saturn
Advertisment