ভগবান শিবের গলায় সাপ জড়িয়ে। ক্যালেন্ডার থেকে ছবি, নানা জায়গায়, এমন দৃশ্য আমরা হামেশাই দেখে থাকি। কিন্তু, বাস্তবেও এমনটা হয়। যা দেখতে পাওয়া যায় এক জাগ্রত মন্দিরে। এ এক অদ্ভূত শিবমন্দির। যেখানে বিষধর সাপ শিবলিঙ্গকে জড়িয়ে থাকে।
পৌরাণিক কাহিনি থেকে আমরা এমন ধরনের নানা ঘটনার কথা জেনে থাকি। গল্প বা অলৌকিক কাহিনিতেও শুনে থাকি এমন ধরনের শিবমন্দিরের কথা। শিবলিঙ্গকে সাপ জড়িয়ে আছে, এমন পাথরের, ধাতুর সাপও আমরা বিভিন্ন মন্দিরে দেখে থাকি। কিন্তু, বাস্তবেও যে এমন শিবমন্দির আছে, তা চোখে না-দেখলে বিশ্বাস করাই কঠিন।
এই অলৌকিক শিবমন্দির আছে উত্তরপ্রদেশের আগ্রার কাছে। যাঁরা আগ্রা দেখতে যান, তাঁরা আগ্রা ফোর্ট থেকে ফতেপুর সিক্রির মত নানা ঐতিহাসিক জায়গায় ঘোরেন। কিন্তু, আগ্রার কাছে সালিমাবাদ অনেকেই চেনেন না। কারণ, সালিমাবাদ এক ছোট গ্রাম। আর, এই সালিমাবাদেই আছে সেই অদ্ভূত মন্দির।
সাপ কিন্তু, এখানে এই শিবলিঙ্গের সঙ্গে সবসময় থাকে না। কিন্তু, রোজ একটি সাপ এই মন্দিরে আসে। আর, শিবলিঙ্গকে জড়িয়ে থাকে। ভক্তদের দাবি, প্রায় পাঁচ ঘণ্টা সাপটি শিবলিঙ্গকে জড়িয়ে থাকে। কিন্তু, কখনও পূজারি বা ভক্তদের কোনও ক্ষতি করে না এই সাপ।
তবে, সাপ মন্দিরে প্রবেশ করার পর ভক্তরা মন্দিরের দরজা বন্ধ করে দেন। সেই সময় কাউকে মন্দিরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। মন্দিরের ভিতরে কী হচ্ছে, তা-ও ভক্তদের দেখতে দেওয়া হয় না। কারণ, এই মন্দিরের ভক্তদের বিশ্বাস, সাপটিও ভগবান শিবের ভক্ত। তাই ভগবান শিবের কাছে এসেছে।
আরও পড়ুন- দেবী দুবরাজেশ্বরী ত্রিশক্তি মহামায়া মন্দির, আজও মধ্যরাতের পর যেখানে ভক্তরা থাকেন না
এরপর পাঁচ ঘণ্টা শেষে মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয়। তারপর সাপটি মন্দির থেকে চলে যায়। সাপ চলে যাওয়ার পরই মন্দিরে সাধারণ ভক্তদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। সাপটি যখন চলে যায়, সেই সময় ভক্তরা সাপটিকে প্রণাম করেন। কারণ, ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে এমন শিবভক্তকে প্রণাম করায় তাঁদেরও পুণ্যলাভ হয়।