সারাদিনের খাটাখাটনি, এবং অজস্র পরিশ্রম মানেই শরীরে এক অদ্ভুত ক্লান্তি। বিশেষ করে বিগত দুই বছর বাড়িতে বসে থাকার কারণ সাপেক্ষে আরও বেশি অলসতা এবং ক্লান্তি ঘিরে ধরেছে মানুষকে। তারা এখন সহজেই দুর্বল হয়ে পড়েন। তবে অনেকেই ঠিক এই কারণেই টনিক অথবা কোনও ধরনের সিরাপ গ্রহণ করেন যেটি আদতে একেবারেই খারাপ। বরং তার চেয়ে আয়ুর্বেদ যথেষ্ট ভাল।
Advertisment
এর সেভাবে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, কিন্তু মানুষের শরীরে এক নিদারুণ পরিবর্তন ঘটাতে পারে। নিজের জীবনের বেশ কিছু পরিবর্তন এবং অভ্যাস বদলের মাধ্যমেই কিন্তু ক্লান্তি দূর করা যায়।
অবশ্যই শারীরিক ভাবে অ্যাক্টিভ থাকতে হবে। যতটা পারবেন ততটাই শরীরচর্চা কিংবা প্রাণায়াম করুন। একজায়গায় বসে থাকলে চলবে না। যত দুর্বলতা গ্রাস করুক, নড়াচড়া করতেই হবে।
যখনই অত্যধিক ক্লান্ত লাগবে সবার আগে মেডিটেশন করুন। এই মেডিটেশনের মাধ্যমেই মানসিক ক্লান্তি দূর করা যায়। অনুলোম বিলোমের মাধ্যমে ক্লান্তি দুর করা খুব সহজ।
ভাল পরিমাণ ঘুম এবং বিশ্রাম। একনাগাড়ে কাজ করতে করতে হলেও কিছু সময় বিশ্রাম নিন। মনকে শান্ত করুন, এদিক ওদিক ঘুরে আসুন। ঠিকমত ঘুম না হলেই শরীরে আরও ধকল পড়বে।
একটি পুষ্টিকর ডায়েট অবশ্যই দরকার। সব ধরনের মিনারেলস, ভিটামিন, প্রোটিন খাওয়া খুব দরকার। কারণ শরীরের সতেজ ভাব বজায় রাখতে যেকোনও ধরনের পুষ্টি প্রয়োজন।
আরেকটি কাজ অবশ্যই করতে হবে! যে কাজটি আপনি পারেন অথবা যে কাজটি আপনার পক্ষে সম্ভব, সেটিই করুন। লক্ষ্য ভ্রষ্ট হলেও কিন্তু অনেককিছুই আয়ত্বের বাইরে বেরিয়ে যায় এবং তখন যথেষ্ট মুশকিল হয়ে পড়ে।
ফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে আসুন। তার প্রথম কারণ, এটি মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত করে তোলে। দ্বিতীয়ত, শরীরে ইলেকট্রনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে একেবারেই ঘুম আসতে চায় না।
এছাড়াও প্রয়োজনে আয়ুর্বেদিক ওষধি অবশ্যই গ্রহণ করুন। এতে করে শরীরের আলদারকম পুষ্টির মাত্রা বেড়ে যায়।