Pcos খুব সাধারণ একটি রোগ হলেও এটি সঠিকভাবে চিকিৎসা না করলে কিন্তু পরবর্তীতে রোগের অশান্তি বাড়তেই পারে। সেই থেকে নারীকেন্দ্রিক নানা ধরনের রোগ সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় দেখা যায়, PCOS থাকলে অনেকেই ওজন কমানোর কথা বলে থাকেন, যদিও বা সকলের ক্ষেত্রে সেটি এক নয়।
Advertisment
ফ্যাটি অ্যাসিড কিন্তু শরীরের পক্ষে খুব ভাল কাজ করে। সামান্য পরিমাণ হলেও, চর্বি থাকা কিংবা স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকা খুব দরকার। ওমেগা থ্রি একেবারেই দেহের কোনও ক্ষতি করে না। বরং পুষ্টি জোগায়, এবং pcos রোগীদের সেই দিকে নজর দেওয়া দরকার অবশ্যই। প্রসঙ্গে ধারণা দিচ্ছেন পুষ্টিবিদ শাদাফ।
সাধারণত তিন ধরনের ওমেগা থ্রি দেখা যায়, অর্থাৎ একটি নিরামিষ আহার থেকে দ্বিতীয়টি প্রাণী জাতীয় খাদ্য থেকে। ALA অর্থাৎ আলফা লায়োলেনিক অ্যাসিড, এটি পাওয়া যায় বাদাম, আখরোট, চিয়া বীজ এসব থেকে। আর আরও দুটি EPA এবং DHA পাওয়া যায়, ডিমের কুসুম কিংবা চিকেন ব্রেস্ট, সামুদ্রিক মাছ এজাতীয় খাবার থেকে।
কীভাবে এটি pcos এ সাহায্য করে?
এটি ডিম্বাশয়ের উন্নতি করে। ডিম্বাণুর মাত্রা বৃদ্ধি করে। সঙ্গেই নিষেক হতে সাহায্য করে। যাতে ঋতুস্রাব জনিত সমস্যার মাত্রা একটু হলেও কমে।
PCOS থাকলে শরীরে গরমের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই খেয়াল রাখতে হবে, যে প্রদাহ যেন আয়ত্বে থাকে। ফ্যাটি অ্যাসিড প্রদাহ কম করে এবং শরীরে আদ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।
এন্ড্রোজেন এর মাত্রা যথেষ্ট কম করে। এবং এটি বেশি থাকলে মেল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায় যেই কারণে শারীরিক ক্ষতি খুব স্বাভাবিক।
PCOS এর সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত ইনসুলিন এবং ব্লাড সুগার। এই দুটি কিন্তু বাড়লে বেজায় সমস্যা। তাই চেষ্টা করতে হয় যেন এদুটিকে আয়ত্বে রাখা যায়। ফ্যাটি অ্যাসিড সুগার এবং ইনসুলিন এর মাত্রা আয়ত্বে রাখে।