মাঝে আর একদিন। তারপরেই তারাপীঠে কৌশিকী অমাবস্যা। ফলে ইতিমধ্যেই তারাপীঠে সাজ সাজ রব। প্রশাসনের কর্তারা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখে নিচ্ছেন। এদিকে কৌশিকী অমাবস্যায় অতিরিক্ত আয়ের উদ্দেশ্যে একশ্রেণির অসাধুচক্র অনলাইনে পুজো করে দেওয়ার নামে পুণ্যার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ মন্দির কমিটির। অসাধু চক্রের খপ্পর থেকে সাবধান হওয়ার জন্য ভক্তদের কাছে আবেদন করেছে মন্দির কমিটি।
কথিত আছে মহিষাসুর বধের পর শুম্ভ-নিশুম্ভের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিলেন স্বর্গের দেবতারা। শেষে দেবতারা মহামায়ার তপস্যা শুরু করেন। সেই তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে দেবী নিজের কোষ থেকে উজ্জ্বল জ্যোতি বিচ্ছুরিত করে এক পরমাসুন্দরী দেবী মূর্তিতে আবির্ভূত হন। নিজ কোষ শরীর থেকে বের হওয়ার জন্য তিনি হলেন কৌশিকী। কৌশিকীদেবী আবার তারা ও কালীতে রূপান্তরিত হন।
আবার শোনা যায়, কৌশিকী অমাবস্যার দিন তারাপীঠ মহাশ্মশানের শ্বেতশিমূল বৃক্ষের তলায় সাধক বামাক্ষ্যাপা সাধনা করে সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। ফলে ওই দিন মা তারার পুজো দিলে এবং দ্বারকা নদীতে স্নান করলে পুণ্যলাভ হয় এবং কুম্ভস্নান করা হয়। এই বিশ্বাসে আজও ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ ওই দিনটিতে তারাপীঠে ছুটে আসেন।
আরও পড়ুন- মার্কিন প্রশাসনে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের রেকর্ড নিয়োগ, ইতিহাস গড়েছে বাইডেন জমানা
করোনা অতিমারির কারণে বছর দুয়েক কৌশিকী অমাবস্যায় তারাপীঠের মন্দির ছিল বন্ধ। ফলে এবার পুণ্যার্থীদের ভিড় পাঁচ লক্ষাধিক হবে বলে মনে করছে প্রশাসন। সেই মতো সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, মন্দিরে একশ্রেণির অসাধু চক্র মন্দির কমিটির মাথাব্যথাার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই ব্যাপারে মন্দির কমিটির সম্পাদক ধ্রুব চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'কিছু অসাধুচক্র অনলাইনে পুজো দেওয়ার নামে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চালিয়ে পুণ্যার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। আমরা পুণ্যার্থীদের সতর্ক করছি। কেউ প্রতারণায় পা দেবেন না। কোনওরকম অনলাইন পুজোর ব্যবস্থা তারাপীঠ মন্দিরে নেই। যাঁরা দূর-দুরান্ত থেকে পুজো দিতে চান, তাঁরা নিজ নিজ সেবাইতের সঙ্গে যোগাযোগ করে মায়ের উদ্দেশ্যে পুজো দিতে পারেন।' একই বক্তব্য মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায়েরও।