জীবন যেমনই সত্য, তেমনই অনিশ্চিত। এই আছে, এই নেই। সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ানের হাসতে হাসতে, বলা ভালো হাসাতে হাসাতে মৃত্যু আমাদের সেই কথাটাই মনে করিয়ে দিল আরও একবার। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে মঞ্চে পারফর্ম করতে করতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন যুবক। চিকিৎসকরা বলছেন ভারতীয় উপমহাদেশে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার গড় বয়স কমেছে ১০ থেকে ১৫ বছর। জীবন যত আধুনিক হয়েছে, স্ট্রেস, মানসিক চাপ, উচ্চাশা, অবসাদ সবই বেড়েছে একটু একটু করে। আর এই দ্রুত জীবনের সঙ্গে তাল মেলাতে মেলাতে আমরা ভুলেই যাচ্ছি ডেডলাইন-এর খুব গা ঘেঁষেই কিন্তু লাইফলাইন, ওটার খেয়াল রাখতে হবে সবচেয়ে আগে। জীবনের চেয়ে বড় কিছু নয়।
লাইফস্টাইলে সামান্য পরিবর্তন আনলে একটা সুস্থ জীবন যাপন করা খুব কঠিন নয়। তবে সবচেয়ে আগে সচেতন হওয়া দরকার। সুস্থ জীবনের জন্য খুব সহজ কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। সেরকম কিছু অভ্যাসের তালিকা দেওয়া হল নীচে। তবে তালিকায় উল্লেখ রয়েছে এমন কিছুতে যদি চিকিৎসকের বারণ থাকে, অবশ্যই তার বিকল্প ব্যবস্থা নিন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই।
শিশুমনের বিকাশে সাহায্য করে ভিডিও গেম
তাড়াতাড়ি ঘুমোন, সকালে উঠুন
রাতে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা টানা গভীর ঘুম দরকার শরীরের। রাতে যত তাড়াতাড়ি শোবেন, ঘুম গভীর হবে। সকালে অনেকক্ষণ বিছানায় গড়াগড়ি করলেও ঘুম কিন্তু পাতলা হয়। তবে যাদের কাজের জন্য রাত জাগতে হয়, তারা নিজেদের সুবিধে মতো রুটিন তৈরি করে নিন। খাওয়ার পর অন্তত দু'ঘন্টা জেগে থাকুন।
সকাল-সন্ধে হাঁটুন
সবার হাঁটার ক্ষমতা সমান নয়। তবে যারা গাড়িতে যাতায়াত করেন, তাঁরা সকাল সন্ধে আধ ঘণ্টা করে অবশ্যই হাঁটুন। টানা বসে থাকা কাজ যাদের, ৪৫ মিনিট অন্তর বিরতি নিয়ে মিনিট পাঁচেকের জন্য হেঁটে নিন। অফিস কিমবা বাড়িতে লিফট ব্যবহার না করে সিঁড়ি দিয়ে উঠুন।
সকালে ভারী এবং রাতে হালকা খাবার খান
জলখাবারে ভারী খাবার খান। দিন যত গড়াবে, হালকা খাবার খান। রাতের খাবার হালকা করুন। সপ্তাহের ডায়েট চার্ট তৈরি করে রাখবেন। সারা সপ্তাহে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইড্রেট পর্যাপ্ত পরিমাণে খাচ্ছেন কি না, খেয়াল রাখুন। অল্প পরিমাণে খেলেও দিনে অন্তত পাঁচবার খাবার খান। এতে বিপাকের হার বাড়ে।
ভাজাভুজি তেল জাতীয় খাবার কম খাবেন
তৈলাক্ত খাবার কম খান। যতটা পারবেন সতেজ শাক সবজি, মরশুমি ফল খান। ৩ থেকে ৪ লিটার জল খান। বাইরে রেস্তোরাঁয় খেতে হলে মাসের বাজেট ঠিক করে নিন। মাসে দু'দিনের বেশি বাইরে খাওয়া এড়িয়ে যান।
এ-কটা অভ্যাস কিন্তু জীবনে নিয়ে আসা খুব কঠিন কিছু নয়। লেগে পড়ুন আজকেই।