World Breastfeeding Week 2019:
এই একুশ শতকে এসেও স্তন্যপান নিয়ে খোলাখুলি কথা বলা সমাজে একরকম ট্যাবুই। আর এই অহেতুক গোপনীয়তা থেকেই ক্রমশ জন্ম নেয় অজ্ঞতা, অজ্ঞানতা। বিশ্ব স্তন্যপান সপ্তাহ, ২০১৯-এ এমন স্তন্যপান বিষয়ক কিছু মিথ ভাঙার চেষ্টা করা হল। সদ্য মা হয়েছেন, অথবা খুব শিগগির মা হতে চলেছেন যারা, এই বিষয়গুলি সম্পর্কে সচেতন হন।
স্তন্যদুগ্ধের একটা গন্ধ রয়েছে, যা জন্মের পরেই সন্তানের সঙ্গে মায়ের সম্পর্ককে গাঢ় করে তোলে। সন্তান কিন্তু আর সব কিছু থেকে এই গন্ধকে আলাদা করতে পারে।
১) সদ্যোজাতদের সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম (এসআইডিএস) সমস্যা হয়। স্তন্যপান সেই ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।
২) স্তন্যপান মায়ের হার্টের সমস্যা, অস্টিওপোরোসিস, স্তন ক্যানসার, জরায়ুর ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়।
আরও পড়ুন, গর্ভাবস্থার পর প্রথম পিরিয়ড, এই বিষয়গুলি খেয়াল রাখুন
৩) ব্রেস্টফিডিং-এ প্রচুর ক্যালোরিক্ষয় হয়, প্রায় সাত মাইল পর্যন্ত হাঁটার সমান ক্যালোরি খরচ হয়।
৪) সন্তানের চাহিদা অনুযায়ী মায়ের দুধ তৈরি হয়, স্তনের আকারের সঙ্গে এর কোনও সম্পর্কই নেই।
৫) মায়ের একটি স্তন থেকেই বাচ্চাকে স্তন্যপান করালে সেই স্তনেই দুধের উৎপাদন বেশি হয়।
৬) মায়ের বুকের দুধ বাইরে থেকে পাতলা করার কোনও দরকারই পড়ে না। সন্তানের শারীরিক চাহিদা ঠিক যেমনটা থাকে, তা পূরণ করার জন্যই মায়ের স্তন্যদুগ্ধ তৈরি হয়।
আরও পড়ুন, নিজের পরিবারেই আপনার সন্তান লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হচ্ছে না তো?
৭) স্তনবৃন্ত অথবা নিপলের শুধুমাত্র একটি ছিদ্র থেকেই দুধ আসবে, তার কোনও মানে নেই। ৪ থেকে ২০ টি পর্যন্ত মুখ থাকতে পারে স্তনবৃন্তের।
৮) সন্তানের বয়স কত, তার ভিত্তিতে মায়ের দুধের পৌষ্টিক চরিত্র বদলাতে পারে।
১০) স্তন্যদুগ্ধের রং সবসময় সাদাই হবে, তার কোনও মানেই নেই। সন্তানপ্রসবের ঠিক পরে মায়ের স্তনে যে দুধ আসে, তাকে বলে কলোস্ট্রাম। এর রং হলদেটে হয়। জন্মের পর বেশ কিছুদিন সন্তানকে স্তন্যপান করানোর সময় মায়ের শরীরে যে দুধ তৈরি হয়, তার রং নীলচে হয়। তাই রং দেখে মায়েরা ঘাবড়াবেন না।