কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বার্ষিক আয়কর জমা দেওয়ার সময়সীমা এক মাস বাড়ানো হয়েছিল আগেই। ৩১ আগস্ট ফুরোচ্ছে সেই মেয়াদ। একমাত্র কেরালাবাসীর জন্য আরও ১৫ দিন বাড়ানো হচ্ছে মেয়াদ। সে রাজ্যের বাসিন্দাদের আয়কর জমা দেওয়ার শেষ দিন সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখ।
এখনও আয়কর জমা না দিয়ে থাকলে শিগগির দিয়ে ফেলুন। আর বিশদে জেনে নিন আয়কর সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য।
কারা আয়কর জমা দেবেন
বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষ টাকার বেশি হলেই আপনাকে আয়কর জমা দিতে হবে। আপনি যদি ভারতে বাস করেন, কিন্তু দেশের বাইরে আপনার কোনও সম্পত্তি অথবা বিনিয়োগ রয়েছে, সে ক্ষেত্রে আপনার আয় করযোগ্য না হলেও আপনাকে কর দিতে হবে। ৬০ বছরের বেশি বয়স হলে বার্ষিক ৩ লক্ষ এবং ৮০ বছরের ওপর বয়স হলে বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকার ওপর আয় হলে তবেই কর দিতে হবে।
সময়সীমার মধ্যে আয়কর দিতে না পারলে কী হবে
৩১ আগস্টের মধ্যে আয়কর জমা না দিলে পরবর্তী প্রতি মাসে ১ শতাংশ সুদে আপনাকে পরে দিতে হবে আয়কর। বার্ষিক আয় যদি ৫ লক্ষ টাকার কম হয়, তাহলে আয়কর জমা মিস হয়ে গেলে ১০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। ৫ লক্ষের বেশি হলে কতটা দেরিতে আয়কর জমা দেওয়া হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করবে জরিমানা কত দিতে হতে পারে।
আয়কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে কী কী ডকুমেন্ট আবশ্যিক
প্যান কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সব তথ্য জরুরি। এছাড়া সম্পত্তি, বেতন, স্যালারি স্লিপ, গত বছরের আয়কর সংক্রান্ত তথ্য, ব্যাঙ্ক স্টেট্মেন্ট, টিডিএস সার্টিফিকেট, প্রফিট-লস, ব্যালেন্স শিট প্রয়োজনীয়।
করযোগ্য আয়ের কম হলেও রিটার্ন ফাইল করা আবশ্যক
আমাদের মধ্যে একটা ভুল ধারণা তৈরি হয় অনেক সময়। আমরা ভাবি বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষের কম হলে রিটার্ন ফাইল করতে হবে না। ঘটনা তা নয়। ভারতের প্রতিটি নাগরিকের আয় সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য আয়কর দফতরের কাছে থাকাটা দরকার। তাই করযোগ্য আয়ের আওতায় না পড়লে রিটার্ন ফাইল করতে হবে। সেক্ষেত্রে আয়কর হিসেবে আপনার থেকে কোনও টাকা কাটা হবে না।
কী ভাবে ফাইল করবেন আয়কর
পুরো পদ্ধতিটাই এখন অনলাইনে করা যায়। সমস্ত ঘর নিজে ভর্তি করে অনলাইনে জমা দিতে পারেন। আবার XML ফাইল আপলোড করে জমা দিতে পারেন নিচের ওয়েবসাইটে।
http://www.incometaxindiaefiling.gov.in
কী কী ভুল এড়ানোর কথা মাথায় রাখবেন
আপনার আয় মতো বেছে নিন কোন ফর্ম ভরবেন। আয়ের উৎস সম্পর্কে সঠিক তথ্য দিন। যাবতীয় আয় ফর্মে উল্লেখ করুন।