ঘন ঘন জিনিস কেনেন আপনি? মাসের প্রথম সপ্তাহেই অর্ধেক হয়ে যায় ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স? কম্বো অফারে পাপোশের সঙ্গে চিনি পাবেন বলে আলাদা করে চিনি না কিনে পাপোশও কেনেন। তারপর মাসের ১৫ তারিখে পকেট গড়ের মাঠ হয়ে যায়। খুব চেনা এই ছবিটা? সোজা কথায় আপনার কেনা কেনা বাতিক রয়েছে। নিজেও জানেন। কিন্তু স্বীকার করতে অনীহা। এই সমস্যা থেকে বাঁচার কিছু রাস্তা রয়েছে।
ঘন ঘন কেনা কাটার স্বভাব থেকে মুক্তি পাবেন কী করে? এই ক'টি বিষয়ের ওপর খেয়াল রাখুন
আপনার প্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকা বানিয়ে কেনাকাটা করতে যান
মাসে দু'বারের বেশী শপিং মল যাবেন না। চেষ্টা করুন মাসে একবার যেতে। কেনাকাটা করার আগে আপনার কী কী প্রয়োজন তার তালিকা বানিয়ে নিয়ে যান। সেই তালিকার বাইরে গিয়ে কেনাকাটা করবেন না।
মাসের শুরুতে বাজেট করে নিন
মাসের শুরুতে মাইনে পাওয়ার পর মাসিক বাজেট করে নিন। সেই বাজেট অনুযায়ী কেনাকাটা করুন। বাজেট পেরোতে দেবেন না। কারণ বাজেট তৈরির সময় সঞ্চয় মাথায় রেখে বাজেট করেছিলেন। বাজেটের বাইরে খরচা করলে সঞ্চয়ের পরিমাণ কমে যাবে।
আরও পড়ুন, ঘুম চোখে বিছানা ছাড়াটাই জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ? রইল কিছু টোটকা
সপ্তাহে অন্তত ক্রেডিট কার্ড ব্যালেন্স চেক করুন
আজকাল বেশির ভাগ কেনাকাটাই হয় অনলাইন করা হয়, নয়তো দোকানে গিয়ে ক্রেডিট অথবা ডেবিট কার্ডে পে করা হয়। ট্যাঁকের টাকা খরচা হচ্ছে না বলে অনেক সময় অনলাইন খরচাপাতির দিকে খেয়াল রাখতে না পেরে লাগামছাড়া খরচ হয়ে যায় আমাদের। সপ্তাহে দু'দিন অন্তর নেট ব্যাঙ্কিং এ ট্রাঞ্জাকশনের দিকে খেয়াল করুন।
ঝোঁকে পড়ে কিনবেন না
দুটো কিনলে পাঁচটা ফ্রি, এই ধরণের লোভনীয় অফারের ফাঁদে পা দেবেন না একেবারেই। ধরুন, দুটো হাত ঘড়ির সঙ্গে ৩ টি বেদেশি পার্ফিউম পাওয়া যাচ্ছে বিনামূল্যে। এবার এই অফারটি আকর্ষণীয় লাগছে বলেই কিন্তু কিনতে যাবেন আপনি। অথচ আপনার কিন্তু ঘড়ি অথবা পার্ফিউম কোনটিরই প্রয়োজন নেই এই মুহূর্তে। অথচ শুধুমাত্র নিজেকে কেনাকাটি থেকে বিরত রাখতে না পেরে লোভে পড়েই কিনে নিলেন এক জোড়া ঘড়ি, সঙ্গে তিন তিনটে পার্ফিউমের সেট। এবার সেই ঘড়ির সঙ্গে মানানসই পোশাক কিনবেন। পোশাকের সঙ্গে মানানসই জুতো। এরকম চলতেই থাকবে। একবার এই ফাঁদে পড়লে বেরনো খুব মুশকিল।
বিজ্ঞাপন দেখলেই এড়িয়ে যান
আজকাল রাস্তাঘাটে, মোবাইলে, সোশাল মিডিয়ায় যত্রতত্র নানা পণ্য সামগ্রীর বিজ্ঞাপন দেখতে পান আপনি। আর সে সব দেখে আপনার চাহিদা তৈরি হয়। বাজার কিন্তু আমাদের মধ্যে এই চাহিদাটাই তৈরি করে দিতে চায়। এবং আপনার সত্যিকারের প্রয়োজনের তুলনায় চাহিদার তালিকাটা ক্রমশ লম্বা হতে থাকে, হতেই থাকে। তাই এই সর্বত্র বিরাজমান বিজ্ঞাপন থেকে সাবধান।