/indian-express-bangla/media/media_files/2025/09/25/cbfc-controversy-2025-09-25-15-37-04.jpg)
CBFC controversy: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বেশ কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং বোর্ড সদস্যের সঙ্গে কথা বলে দেখেছে যে সিবিএফসির মধ্যে নীরব ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
Film Board Disquiet: ভারতের সিনেমা দুনিয়া গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক স্তরে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে চলচ্চিত্র নির্মাতারা এক ভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। এই সমস্যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সেন্ট্রাল বোর্ড অব ফিল্ম সার্টিফিকেশন (CBFC), যা জনপ্রিয়ভাবে সেন্সর বোর্ড নামে পরিচিত।
সম্প্রতি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে দুটি বড় ছবি (Film)– Homebound এবং Punjab ’95। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসা কুড়ানো এই সিনেমাগুলি ভারতে মুক্তি পেতে গিয়ে কঠিন বাধার সম্মুখীন হয়েছে। নির্মাতাদের অভিযোগ, ছবির নানা গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্য ও সংলাপে হস্তক্ষেপ করছে বোর্ড।
আরও পড়ুন- বদলাতে পারে ভাগ্য! নবরাত্রির চতুর্থীতে এভাবে করুন কুষ্মাণ্ডার পূজা
নিয়ম অনুযায়ী সিবিএফসি (CBFC) বোর্ডের প্রতি তিন মাস অন্তর বৈঠক হওয়ার কথা। কিন্তু শেষ বৈঠক হয়েছে ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট। এরপর থেকে আর কোনও অফিসিয়াল মিটিং হয়নি। এর ফলে প্রশ্ন উঠছে বোর্ডের আইনি বৈধতা নিয়েও। সিবিএফসির প্রতিবছর একটি বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু সর্বশেষ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ২০১৬-১৭ সালে। অর্থাৎ সাত বছর ধরে কোনও রিপোর্ট নেই।
আরও পড়ুন- 'আরামবাগের গান্ধী'! সততায় যেন নিখাদ সোনা ছিলেন প্রফুল্ল সেন
'সেন্সরশিপ রাজ'-এর অভিযোগ
বোর্ডের কাজকর্ম সম্পর্কে চলচ্চিত্র জগতের অনেকেই বলছেন, এখানে চলছে 'একজনের শাসন।' সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন সীমিত কয়েকজন সদস্য। নির্মাতাদের দাবি, এটি এখন আর শুধু সার্টিফিকেশন নয়, বরং 'সেন্সরশিপ রাজ'। Homebound ছবির উদাহরণই যথেষ্ট। ছবিতে একাধিক সংলাপ ও কাস্ট সম্পর্কিত রেফারেন্স বাদ দিতে বলা হয়েছিল। এতটাই চাপ তৈরি হয় যে, প্রথম পোস্টার থেকে হলিউড কিংবদন্তি Martin Scorsese-এর নামও বাদ দেওয়া হয়েছিল। পরে অবশ্য তা ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন- দুর্ভাগ্য দূর করে সৌভাগ্য আনুন জীবনে! জানুন টিপস!
পঞ্জাব '৯৫: কাটছাঁটের তালিকা শতাধিক!
দিলজিৎ দোসাঞ্জ অভিনীত পঞ্জাব '৯৫ (Punjab ’95) ছবিটি সেন্সরের (Censor Board) জালে তিন বছর ধরে ঝুলে আছে। প্রথমে ২১টি কাটের পর, একে একে ১৩০টিরও বেশি কাটের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। নির্মাতা হানি ত্রেহান (Honey Trehan) সাফ জানিয়ে দেন, তিনি আর এই কাট মেনে নিতে পারবেন না। এমনকী ছবির নাম থেকে 'পঞ্জাব' শব্দটি মুছে ফেলারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। বোর্ডের প্রাক্তন ও বর্তমান সদস্যদের বক্তব্য অনুযায়ী, বোর্ড এখন কার্যত চেয়ারম্যানের ইচ্ছাতেই চলছে। কেউ মনে করেন, ২০২১ সালে ফিল্ম সার্টিফিকেশন আপিলেট ট্রাইব্যুনাল (FCAT) তুলে দেওয়ার পর পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। এখন নির্মাতাদের সোজা হাইকোর্টে যেতে হচ্ছে। যা সময়সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল।
আরও পড়ুন- কন্যাকুমারী ভ্রমণ গাইড, দুই দিনে ঘুরে দেখুন তিন সাগরের মিলনস্থল
ভারতীয় চলচ্চিত্র এখন আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রমশ জনপ্রিয় হচ্ছে। কানস বা টরন্টোর মতো উৎসবে ভারতীয় ছবির কদর বাড়ছে। কিন্তু দেশের ভেতরে যদি এভাবে ছবি আটকে যায়, নির্মাতাদের সৃজনশীল স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হয়, তবে এর প্রভাব পড়বে বিনিয়োগ ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ওপরও। এমনটাই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
/indian-express-bangla/media/agency_attachments/2024-07-23t122310686z-short.webp)
Follow Us