উৎসবের মরসুমে এমনিতেই মেজাজ খুশি খুশি থাকে। তার ওপর দীপাবলি এলে যেন উপচে পড়ে আনন্দ। বাড়িতে খুদে সদস্য থাকলে তো কথাই নেই। তাদের মন ভোলাতে বাড়িতে বাজির সম্ভার মজুত হয়েছে নিশ্চয়ই এতক্ষণে। কিন্তু বাজি আনন্দও যেমন দেয়, প্রতি বছরই কোথাও না কোথাও ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে। এবারের দীপাবলি যাতে সুস্থ এবং নিরাপদ হয়ে ওঠে, তার জন্য থাকল কিছু পরামর্শ।
লাইসেন্স আছে, এমন দোকান থেকে বাজি কিনুন
খুব সস্তার বাজি কিনবেন না। ব্র্যান্ড দেখে এবং দোকানের লাইসেন্স দেখে বাজি কিনুন। আপনার পরিবারের খুদে সদস্যদের বয়সের কথা মাথায় রেখে তবেই বাজি কিনুন।
খোলা জায়গায় বাজি পোড়ান
খুব ঘিঞ্জি জায়গায় বাজি পোড়াবেন না। আশে পাশে দাহ্য বস্তু নেই, এমন খোলা জায়গায় বাজি পোড়ান। যেখানে বাজি পড়াবেন, সেখানে আপনার বাজির সম্ভার মজুত রাখবেন না।
আরও পড়ুন; কালী পুজো উপলক্ষে রইল একগুচ্ছ শ্যামা সংগীত
ইনসেন্স স্টিক ব্যবহার করুন
বারবার দেশলাই জ্বালিয়ে সমস্যা বাড়াবেন না, এতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। দেশলাই দিয়ে জ্বালানোর সবচেয়ে বড় সমস্যা , যিনি বাজি পোড়াচ্ছেন, নিরাপদ দূরত্বে আসার আগেই জ্বলে ওঠে। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বাড়ে। ইনসেন্স স্টিকে এই সমস্যা হয়না। আগুন ধরানোর পর নিরাপদ দূরত্বে ফিরে আসার সময় পাওয়া যায়
বাচ্চাকে চোখের আড়াল করবেন না
বাজি পোড়ানোর সময় আপনার সন্তানকে একা ফেলে যাবেন না। ওদের সঙ্গে সঙ্গে থাকুন। ওদের নিজেদেরকেও সতর্ক থাকতে বলুন। খেয়াল রাখবেন একজন অন্তত বড় কেউ যেন বাচ্চাদের সঙ্গে থাকে।
মুখ ঢেকে রাখুন
মুখ ঢেকে বাজি পোড়ান। বাজি থেকে শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা হতে পারে।
সঙ্গে জল এবং বালি রাখুন
আগুন নেভাতে বালি খুব কাজে লাগে। বাজি পোড়ানোর সময় একটা বালতিতে জল এবং বালি সঙ্গে রাখুন।
চশমা সঙ্গে রাখুন
বাজির ধোঁয়া থেকে চোখে সমস্যা হতে পারে। তাই অ্যান্টি গ্লেয়ার গ্লাস ব্যবহার করুন।
নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে বাজি পোড়ান
বিশেষ করে খেয়াল রাখুন, আপনার বাচ্চা যেন বাজির খুব কাছাকাছি না থাকে। আপনিও নিরাপদ দূরত্বে থাকুন। দুর্ঘটনা এড়ানোর খুব সহজ উপায় এটি।
সুতির পোশাক পরুন
আপনার সন্তানকে হালকা জামা পরাবেন। নাইলন খুব সহজ দাহ্য, তাই সুতির পোশাক পরানোই শ্রেয়। বাচ্চার পায়ে যেন জুতো থাকে।
হাতের কাছে ফার্স্ট এইড কিট রাখুন
বিপদ আসতে পারেন, এরকম ভেবেই তৈরি থাকুন। বার্নল, ডেটল ইত্যাদির সঙ্গে ফার্স্ট এইড কিট সঙ্গে রাখুন। শরীরের কোনও অংশ পুড়ে গেলে অন্তত ১০ মিনিট ঠাণ্ডা জল দিন ওই জায়গায়। দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। বাচ্চার চোখ জ্বালা করলেও প্রথমে জল দিন। চোখের ড্রপ দিতে পারেন।
Read the full story in English