প্রথম স্কুলে যাবে আপনার খুদে। নতুন ইউনিফর্ম থেকে ব্যাগ, ওয়াটার বোতল সব তৈরি। তবে আপনি তৈরি তো? ওকে স্কুলে পাঠানোর আগে মানসিক প্রস্তুতি নিন আপনিও। অবশ্যই বেশ কিছু দিক খেয়াল রেখেই ওর জন্য স্কুল বা প্রি-স্কুল বাছুন। আপনাকে সাহায্য করতে রইল কিছু পরামর্শ।
স্কুলে ভর্তি করানোর আগে স্কুল সম্পর্কে ভাল করে খোঁজখবর নিন। আপনার বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব কতটা, যাতায়াতের সুবিধা আছে কিনা ইত্যাদি দেখে নিন। এ ক্ষেত্রে প্রথম স্কুল আপনার বাড়ির কাছাকাছি হওয়াই বাঞ্ছনীয়। কারণ বাড়ি থেকে হঠাৎ অনেকটা দূরে যাওয়ায় সমস্যা হতে পারে আপনার খুদের। এ ছাড়াও অনেকটা রাস্তা যাতায়াতের ফলে সে ক্লান্তও হয়ে যেতে পারে। কাজেই স্কুল নির্বাচনের ক্ষেত্রে এই দিকটা মাথায় রাখুন।
আপনার খুদেকে যে স্কুলে পাঠাচ্ছেন সেই স্কুল সম্পর্কে সঠিকভাবে খবরাখবর নিন, প্রথমেই দেখুন স্কুলের প্রতিটা জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে কিনা। পরবর্তীকালে বাসের প্রয়োজন হলে সেই সুবিধা মিলবে কিনা, দেখে নিন সেটা। এ ছাড়াও দেখুন সমস্ত রকম মেডিক্যাল ফেসিলিটি রয়েছে কিনা, স্কুলে যাঁরা আপনার বাচ্চার দেখাশোনা করছেন তাঁরা সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত কিনা সেটাও দেখে নেওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন: কম্পিউটারের সামনেই সারাদিন? চোখের খেয়াল রাখুন আজ থেকেই!
স্কুলে ভর্তির পরই ওর যাতায়াতের ভার স্কুল বাস বা অন্য় কারোর ওপর ছেড়ে দেবেন না। ক্লাস শুরু হওয়ার পর অন্তত কয়েক সপ্তাহ ওকে আনা নেওয়ার দায়িত্ব আপনিই নিন, এতে শিশুর ভয় কাটবে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। শিশুকে নতুন পরিবেশের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে কিছুটা সময় দিন।
স্কুল শুরু হওয়ার পরই ওর খাবারের দিকে নজর রাখুন। খেয়াল রাখুন ও যেন পুষ্টি পায় ঠিক মতো, এই সময় ওর যত্ন নিন, ঘুম এবং খাওয়ার দিকে বাড়তি নজর রাখুন। স্কুল শুরুর প্রথম কয়েক সপ্তাহ নতুন ক্লাসের চাপ পড়তে পারে, তাই শিশুর মধ্যে ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
স্কুল মানেই ওর ওপর পড়ার ভার চাপিয়ে দেবেন না। খেলার ছলে ওকে পড়ানোর চেষ্টা করুন। স্কুলের গল্প করুন। নতুন বন্ধুদের কথা জিজ্ঞেস করুন। ক্লাস শেষের পর সুযোগ থাকলে অন্যন্য বাচ্চাদের সাথে খেলতে দিন। এতে স্কুলের প্রতি তার আগ্রহ বাড়বে।
মনে রাখুন, একটা পরিবেশ থেকে সম্পূর্ণ নতুন একটা পরিবেশে যাচ্ছে আপনার খুদে। কাজেই এই সময় ওকে সাহায্য করার দায়িত্ব আপনারই। কারণ শুরুটা মজবুত হলেই পরবর্তী সময়টা সুন্দর হবে।