সুস্থ থাকতে প্রত্যেকেই চায়, অথচ সময়ের অভাবে হয়ে ওঠেনা কোনওটাই। এরপর তো অফিসের চাপ, ক্লান্তির মতো হাজারটা সমস্যা রয়েছেই। ফল স্বরূপ বাড়তে খাকে মেদ, আর ভুড়ি। সঙ্গে গাঢ় হয় বয়সের ছাপ। আমনিও যদি একই সমস্যায় হয়রান হয়ে থাকেন তাহলে একবার চোখ বুলিয়ে নিয়ে এই ডায়েট টিপসেই। মাত্র একমাসেই ফল মিলবে হাতে নাতেই। এদিকে সামনেই পুজো তাই এই মূহুর্তে এর থেকে আর ভাল উপায় কিছু হতেই পারে না। বিশেষত যাঁরা অফিসে একটানা অনেক্ষণ বসে কাজ করেন তাঁরা বশ্যই নজর রাখুন প্রতিদিনের ডায়েট প্ল্যানে।
কাজের চাপে সকালের ব্রেকফাস্ট এড়িয়ে যান অনেকেই। যা শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সকালে ভারি ব্রেকফাস্ট করুন। এতে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকবে পাশাপাশি খিদেও পাবে কম। কাজেই সারাদিনের খাই খাই প্রবনতাও কমে যাবে । এতে অতিরিক্ত ওজন বাড়ারও সম্ভবনা থাকবে না।
সঙ্গে স্বাস্থ্যকর স্নাকস রাখুন। খিদে পেলে রাস্তার ফাস্টফুড জাঙ্ক ফুড না খেয়ে স্বাস্থ্যকর স্নাকস খান। যেমন খেজুর, আখরোটের মতো ড্রাই ফ্রুটস, শুকনো মুড়ি, চিড়ে ভাজা, সেদ্ধ ভুট্টা (সুইট কর্ন) মজুত রাখুন অফিসের টেবিলে
ট্রেডমিল ব্যবহার করুন অন্তত ১০ মিনিট। আজকাল বেশিরভাগ অফিসেই আজকাল জিমের ব্যবস্থা থাকে। কাজের ফাঁকে একবার ঢুং মারতে পারেন সেদিকে, কিংবা বাড়িতে ট্রেডমিলে হাঁটতে পারেন ১০ মিনিট। অথবা অফিস থেকে ফেরার পথে দুটো স্টপেজ আগে নেমে হেঁটে ফিরুন বাড়িতে। অনেকটাই হাঁটাচলা হবে এতে।
শরীরকে সচল রাখুন, একভাবে অনেকক্ষণ বসে কাজ করবে না। মাঝে মধ্যে ৫ কিংবা ১০ মিনিটের বিরতি নিয়ে এদিক ওদিক হেঁটে আসুন। সারাদিনে জল খান প্রচুর পরিমাণে। জল শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও খাবার হজমও হয় চটজলদি।