/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/12/health.jpg)
প্রতীকী ছবি
শরীরের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার ক্ষমতা কারওর নেই। সবকিছুকে নিজের মত করে গুছিয়ে নেওয়া গেলেও এটিকে নিজের মর্জিমত একেবারেই চালানো যায় না। হ্যাঁ, তাইবলে চিকিৎসার মাধ্যমে অবশ্যই বেশ কিছু সম্ভব। কিন্তু তারপরেও এমন কিছু দৈহিক ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যেই সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নিজের ভাল থাকার পেছনে অবশ্যই মানসিক এবং শারীরিক বিষয় গুরুত্বপূর্ণ, তবে তার সঙ্গে এমন কোনও কথা নেই যে এটিকে নিজের ইশারায় আপনি চালনা করতে পারবেন। প্রসঙ্গেই এমন পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন ডার্মাটোলজিস্ট গুরভীন ওয়ারাইচ। সেগুলি কী কী?
মেনস্ট্রুয়েশনের দিন কয়েক আগে বমি ভাব, মুড সুইং করা এবং ব্রণর লক্ষণ মেলা খুব স্বাভাবিক। এই সময় ইস্ট্রোজেন এবং প্রজেস্টেরন লেভেল ক্রমশই কমতে থাকে সঙ্গেই টেস্টোস্টেরন বাড়তে থাকে তাই এরকম লক্ষণ পাওয়া খুব স্বাভাবিক। এগুলি নিয়ে বেশি ভাবলে আরও সমস্যা। শরীরে মেনস্ট্রুয়েশন দেখা দিলেই এর সমস্যা দুর হতে থাকে।
চুলের দৈর্ঘ্য নিয়েই অনেকেই সমস্যায় ভোগেন। অনেকেই এমন আছেন না চাইতেই চুল তাড়াতাড়ি বেড়ে যায়। তবে এক্ষেত্রে মাথায় রাখা উচিত আনাজেন পর্যায়ে দৈর্ঘ্য বাড়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রিত। কতক্ষণ স্থায়ী হবে সেটিও জেনেটিক্স দ্বারা নির্ধারিত। ক্রমান্বয়ে দুই থেকে সাত বছর পর্যন্ত এই সময়কাল স্থায়ী হতে পারে। আবার অনেকের এই সময় চুল গজাতেও পারে।
ত্বকের ছিদ্র অনেকেই পছন্দ করেন না। কিন্তু এগুলি আসলে সেবাসিয়াস গ্রন্থির ক্ষুদ্র ছিদ্র। এটি সহজেই মানুষের মনে উদ্বেগ সৃষ্টি করে। এগুলি ত্বকের একটি অপরিহার্য অংশ। যাদের তৈলাক্ত ত্বক তাদের মধ্যে এর লক্ষণ বেশি। এগুলিকে চাইলেই আমরা দূর করতে পারি না। বয়স বাড়ার সঙ্গেই এর আকৃতি বাড়তে থাকে। তবে স্কিনকেয়ার এবং চিকিৎসার মাধ্যমে একে কমানো যায়।
চুল পড়া চুলের জন্য দরকারি। তবেই নতুন চুল গজাতে পারে। চুল চারটি ধাপে বৃদ্ধি পায় : আনাজেন, ক্যাটাজেন, তেলোজেন, এক্সোজেন। এবং যখন এই চারটি ধাপ সম্পন্ন পায়, তখন নিজেকে থেকেই সারাদিনে ১০০ চুল পড়া খুব স্বাভাবিক। চুল পড়া নিয়ে বেশি চিন্তা করলে আরও সমস্যা বাড়তে থাকে।
যতখুশি যাই ব্যবহার করুন না কেন, গায়ের রং কোনওভাবে বদলানো সম্ভব নয়। যতই ফর্সা হওয়ার ক্রিম কিংবা উপটান ব্যবহার করেন না কেন, গায়ের রং চকচকে হতে পারে, ত্বক ভাল হতে পারে তবে তাই বলে ফর্সা কখনই হতে পারে না। তাই নিজের গায়ের চামড়ার রং নিয়ে কষ্ট পাওয়ার কোনও কারণ নেই বরং একে নিজের মত করার সুন্দর রাখুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন