ইচ্ছে হলেই ঢকঢক করে ঠান্ডা পানীয় পান করেন? যদিও এটি অনেকের অভ্যাস, কারওর আবার শখ। বাইরে বেরোলেই তরল ঠান্ডা পানীয় খাওয়ার ইচ্ছে থাকতেই পারে। কিন্তু এর অত্যধিক মাত্রায় সেবন কিন্তু আপনারই ক্ষতি করতে পারে। এমনকি সেই তরলের সঙ্গে ডায়েট শব্দটি যুক্ত থাকলেও ব্যতিক্রম কিছুই নয়।
ঠান্ডা পানীয় অর্থই, অতিরিক্ত মাত্রায় প্রক্রিয়া এবং বিক্রিয়াকরণের ফলে নির্মিত পানীয় যেটিতে অত্যধিক মাত্রায় চিনি অথবা যাকে ফেক সুগার বলা হয় সেটি বিদ্যমান, সঙ্গেই নানা ধরনের রং তো থাকছেই। পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ টিম গ্রে বলছেন, এগুলি আপনার শরীরে কি মারাত্বক পরিমাণ ক্ষতি করতে পারে সেটি বুঝতে হলে একটি ছোট পরীক্ষা করতে হবে। একটি তামার কয়েন ১০ ঘণ্টা মত সেই পানীয়র মধ্যে ফেলে রাখুন, পরবর্তীতে হকচকিয়ে যাবেন। যদি এটি একটি ধাতুকে সাদা করে দিতে পারে তবে আপনার অন্ত্রের পক্ষে এটি কতটা ক্ষতিকর সেটি নিশ্চই বুঝতে পারবেন!
তিনি আরও বলেন, সারাদিনে জলের থেকে বেশি উপকারী আর কিছুই হতে পারে না। যদিও সেটিও এখন ফুটিয়ে খেলেই বেশি ভাল। তারপরেও মানুষ ঠান্ডা পানীয় খেতেই বেশি পছন্দ করেন। এই প্রসঙ্গেই আরও কী কী ভাবে এটি মানবদেহের ক্ষতি করতে পারে সেটির ধারণা দিয়েছেন ;
- ঠান্ডা পানীয় আপনার রক্তে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি করে। সারাদিনে একটি ঠান্ডা পানীয় ধমনীতে ৩০% ট্রাইগ্লিসারাইড বৃদ্ধি করে, এবং পেশীকে আরষ্ঠ করে তোলে। যেটি আপনার শরীরের পক্ষে খারাপ।
- অল্প বয়সেই লালিত্ব হারিয়ে ফেলবেন আপনি। কারণ এগুলি ফসফরাস যুক্ত হয় এবং আপনার শরীরের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটিয়েই কিন্তু বয়সের তুলনায় বার্ধক্যে ঠেলে দিতে পারে।
- শরীরে অতিরিক্ত প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে এই ঠান্ডা পানীয় গুলি। ফলেই রেটার্ডান্টব্রমিনেটেড নামক একটি শারীরিক তৈলের সঙ্গে বিক্রিয়া ঘটিয়ে সারা দেহে অ্যালার্জি এবং লাল দাগের সৃষ্টি করতে পারে। অনেকের আবার এর থেকে স্নায়ুজনিত সমস্যা হতে পারে।
- দাঁতের শিরশিরানি অনুভূত হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। ফসফেরিক অ্যাসিড এবং সাইট্রিক অ্যাসিড দাঁতের এনামেল ধ্বংস করে একে ক্ষয় করতে পারে। এছাড়াও ক্যাবেটিস হতেই পারে এর থেকে।
- সাধারণ কোনও খাবারের সঙ্গে মিশে গিয়ে অ্যাস্পর্তেম নামক দ্রব্যের সঙ্গে বিক্রিয়া করে মাথার কোষগুলিতে ঝাঁকুনির সৃষ্টি করতে পারে। ফলেই আপনার শরীর কিন্তু বেজায় অসুস্থ হতে থাকে।
- সারাদিনে অল্প সোডা কিংবা ঠান্ডা পানীয় খেলেও বেজায় মুশকিল। কারণ এটি আপনার মেটাবোলিজম হ্রাস করে, সঙ্গেই ডায়াবেটিসের মাত্রা ৬৭% বাড়িয়ে তোলে। আপনার সুগার লেভেল অবশ্যই বাড়তে থাকবে।
- এমন অনেক পানীয় আছে যাতে মিনারেলের পরিমাণ খুবই কম, সেগুলি সেবন করলে কিন্তু আপনার শরীর একেবারেই শুকিয়ে যেতে পারে এবং সেই থেকেই শরীরে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাহলে আজ থেকে ঠান্ডা পানীয় একটু কম খাবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন