পরিস্থিতি এবং চারপাশে ঘুরে তাকালে মনের আর কোনও দোষ নেই। বিশেষ করে দেখা যায়, ডিপ্রেশন, উদ্বেগ এবাং মানসিক যন্ত্রণা যেন বাঁচতে দিচ্ছে না মানুষকে। অনেকেই বিগত দুই বছরে কাছের মানুষকে হারিয়েছেন সেই শোক এখনও তাজা। তবে মন যত খারাপ থাকবে, শরীরের পক্ষে ততই খারাপ। ওষুধ পর্যন্ত কাজ করে না অনেক সময় মানসিক ভাবে না চাইলে।
Advertisment
মনোবিদ এবং বিশেষজ্ঞ স্বেতাম্বরা শব্রেওয়াল বলছেন, মানসিক চাপ এবং অসুস্থতার সঙ্গে অনেকেই পেরে ওঠেন না। বিশেষ করে স্ট্রেস কাটিয়ে সাধারণ জীবনে ফিরে আসার সমস্যা খুব বেশি! তবে ভিন্ন ধরনের ক্রাইসিস থেকে কীভাবে নিজেকে সুস্থ করতে পারবেন এবং মানসিক ভাবে ভেঙে পড়া থেকে রোধ করতে পারবেন সেই বিষয়ে জানা দরকার! যেমন?
তিনি বলছেন মানসিক চাপ কিংবা ট্রমার সঙ্গে লড়তে গেলে প্রয়োজন, তিনটি ডাইমেনশনাল ডিফেন্সের প্রয়োগ। চারিপাশে ভাইরাস, মৃত্যু এবং খারাপ সংবাদে মানসিক বিপর্যয় নেমে আসা খুব স্বাভাবিক। এমন সময় যেভাবে নিজেকে আনন্দে কিংবা পরিস্থিতির থেকে আগলে রাখবেন,
প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। অর্থাৎ একসময়ে জবাব কিংবা প্রত্যুত্তর দেওয়া খুব ভাল প্রমাণিত হতে পারে। কোন বিষয়ে জবাব দেওয়া উচিত সেটিও জানতে হবে এবং কোনটিতে নয় সেটিও জানতে হবে। সময়ের সঙ্গে এগুলি শেখা এবং আয়ত্বে রাখা খুব দরকারি।
নিজের মধ্যে সহনশীলতা বজায় রাখা খুব দরকারি। যে রাস্তায় নেমেছেন তাতে হাঁটতে হবেই তবে মনে রাখবেন মুখ তুলে নজর সোজা রেখে লড়াই করে যাওয়াই আমাদের উদ্দেশ্য সেটিকে কার্যকর করতেই হবে। একবার দুবার নয়, যতবার ভাঙবেন উঠে দাঁড়ান আবার এগিয়ে যান, কারওর কথায় কান দেবেন না।
রিকভারি অর্থাৎ নিজেকে ভাল করে পুনরায় গড়ে তোলা। চেষ্টা করবেন যেন কোনওভাবে আপনাকে ভাঙ্গা না যায়, সেইদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। অতীতের থেকে শিখতে হবে তবে বর্তমানে ফোকাস রাখতে হবে ভবিষ্যতকে উজ্জ্বল করার জন্য। স্ট্রেস একদম সরিয়ে দিন। আর যাই হোক জীবন থমকে যেতে পারে না।
তাঁর বক্তব্য, কন্ট্রোল রাখতেই হবে। ভাল মন্দ, খারাপ সঠিক বিচার করলেই কিন্তু আপনাদের লাভ, সবসময় খারাপ আঁকরে ধরে ভাল থাকা যায় না।