মানুষের সামাজিক জীবনে এখন আর কোনও গুরুত্ব নেই! বেশিরভাগ সময় এখন নিজেকে ডিজিটাল ডিভিশনের দিকেই ঠেলে দিয়েছে। সমাজে এখন মুখ দেখানোর সময় নেই, বরং ফোন কিংবা কম্পিউটারে নিজেকে ডুবিয়ে রাখতেই তারা বিশ্বাসী। এতে আর বেশি কিছুই নয়, ডিজিটাল টক্সিন এর মাত্রা বেড়ে গিয়ে মানুষ সামাজিকতার কথা ভুলে গিয়েই মানুষকে আপন করতে ভুলে যাচ্ছে! তাহলে উপায়?
এই প্রসঙ্গেই বেশ কিছু সহজ বক্তব্য রেখেছেন চিকিৎসক রঙ্গন চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আসলেই যত নষ্টের গোড়া ওই মুঠোফোন। এর থেকে বাচঁতে গেলে বেশ কিছু সময় নিজেকে এর থেকে দূরে রাখতে হবে। যদিও সেটি অসম্ভব তবে পারস্পরিক জীবনযাত্রার সঙ্গে নিজেকে বাঁধতে গেলে এটুকু করাই যায়। তিনি বলেন ছোট ছোট কিছু পরিবর্তন কিন্তু আপনার জীবনের গতি একেবারেই বদলে দিতে পারে, বলা উচিত নতুন করে অনেক কিছুই শুরু করতে পারেন।
আপনার নিজস্ব জীবনযাত্রায় আর কিছু ভাল থাকুক আর না থাকুন, আপনার ইমেল ভর্তি কিন্তু থাকবেই! কাজ আর সমস্যার মধ্যেই ভাল থাকার ইচ্ছে নিজেকেই খুঁজে বের করতে হবে এবং সেই কারণেই ডিজিটাল ডিটক্স এর সম্পর্কে ধারণা থাকা প্রয়োজন। ঠিক এই টিপসগুলো মনে রাখলেই কিন্তু আপনিই উন্নতি করতে পারবেন আর কিছু না হোক - মন খুলে বাঁচতে তো পারবেন! তবে সেগুলি কী কী?
মুঠোফোনের আড়ালে অনেকগুলো বাটন থাকে, সেই নোটিফিকেশন অবশ্যই অফ করতে হবে! দুনিয়ার সঙ্গে অল্প সময়ের জন্য সম্পর্ক বিচ্ছেদ করা খুব দরকার। এতে নিজেকে নতুন করে খোঁজার চেষ্টা থাকে, আপনার চাহিদা এবং প্রয়োজন অনুভব করতে পারবেন।
প্রত্যেকেই ফোন ব্যাবহার করেন। এবং ফোন চার্জ করার প্রসঙ্গে অনেকেই বেশি কনসার্ন। আর সম্ভব হলে বিছানায় যাওয়ার আগে ফোন টা নাগালের বাইরে রাখুন! সেটিকে ঘরের বাইরে চার্জ করতে বসিয়ে দিন।
হাতে ঘড়ি পড়ার অভ্যাস রাখুন ফোন থেকে সময় দেখার পরিবর্তে। এটি একটি ভাল অভ্যাস! এতে ডিসিপ্লিন খুব ভাল বজায় থাকে।
ফোনের মধ্যে নিশ্চই অ্যাপস দিয়ে ভর্তি। এখানেই টানতে হবে লাগাম! সারাদিনে কোন অ্যাপে কতক্ষণ সময় কাটাবেন সেটি অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে - যথেচ্ছ সময় নষ্ট করে একেবারেই এই কাজ করবেন না।
কাছের মানুষের সঙ্গে সারাদিন কিংবা সপ্তাহের শেষে সময় কাটাচ্ছেন! সেইসময় ফোন নিজের থেকে দূরে রাখুন। এটি কিন্তু ভাল সময়ে আপনার কাছের মানুষের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
তাই আজ থেকে একটু হলেও সময় করেই নিজেকে এবং অন্যকে ভাল থাকতে ডিজিটাল ডিভিশন থেকে বেড়িয়ে আসুন!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন