সাধারণ জ্বর কিংবা সর্দি কাশি বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে কিন্তু একেবারেই সাধারণ কিছু না। বলা উচিত কখন কী থেকে কী হয় সেই নিয়েই মানুষের রাতের ঘুম উরে যাওয়ার জোগাড়। এই সময় ঠিক কী করা উচিত আর কী নয় সেই নিয়ে চিন্তায় থাকেন প্রচুর মানুষ। তবে নিজেকে রোগমুক্ত রাখতে গেলে সবকিছুর সঙ্গে খাওয়াদাওয়া, ওষুধ সেবন এগুলো মাথায় রাখতে হবে। সবধরনের খাবার কিন্তু আপনার নাও চলতে পারে। অন্তত পুষ্টিবিদ নিতিকা কোহলি ঠিক তাই মনে করেন।
Advertisment
তিনি বলছেন, এইসময় সাধারণ জ্বর কিংবা ঠান্ডা লাগার ধাত অনেকেরই থাকে। বিশেষ করে সিজনাল চেঞ্জ তথা শীতের শুরু কিংবা শীতের শেষ কিন্তু ঠান্ডা লাগার আরত। তাই এই সময় নিজের প্রচুর যত্ন নেওয়া দরকার। তার বক্তব্য, অনেকেই ঠাওর করতে পারেন না কোনটা খাওয়া উচিত আর কোনটা নয়। তাই সঠিক জানা খুব দরকার, অন্তত আন্দাজ করা যায় কোনটি আপনার জন্য ঠিক আর কোনটা নয়!
তিনি বলছেন শরীর অসুস্থ থাকা কালীন, যে খাবারগুলি একেবারেই খাওয়া চলবে না তার মধ্যে ফল, দুধ এবং ভারী খাবার - মনে রাখতে হবে। অত্যন্ত ভারী খাবার খেলে আপনার লাভের লাভ কিছুই হবে না।
দ্বিতীয়, যখন খিদে পাবে তখনই খান, কারণ শুধু শরীরের শক্তি বাড়ানোর জন্য খেলে কিন্তু বিপদ। তাই এটি মাথায় রাখতে হবে।
তৃতীয়, যদি মনে হয় সারাদিনে কিছু না খেয়েও থাকতে পারেন। শরীর রসস্থ বোধ করলে না খাওয়াই ভাল, বিশেষ করে ভাত জাতীয় কিছু থেকে কষ্ট আরও বাড়তে থাকে।
একেবারেই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মুঠো মুঠো ডলো কিংবা প্যারাসিটামল খাবেন না। এটি অত্যন্ত পাওয়ারফুল একটু ওষুধ, তাই এটি থেকে দূরে থাকুন।
কি ধরনের খাবার খেলে উপকার পাবেন?
মুগ ডালের সুপ, খিচুরি, ডালভাত, সবজি দ্বারা নির্মিত সুপ ইত্যাদি।
যেগুলি একেবারেই খাওয়া উচিত নয়?
রুটি, ফল, দুধজাতীয় খাবার, বেকারী কিংবা কেক এগুলি খাবেন না।
অবশ্যই চিকিৎসকের থেকে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের জন্য নাম জেনে নিন, এটি ছাড়া সুস্থ হওয়া খুব চাপের। এবং এটি না থাকলে হলুদ দুধ, ফল কিংবা মাল্টি ভিটামিন জাতীয় কিছু খাওয়া যায় না। তাই সাবধান!
এবং অবশ্যই নিজে থেকে কোনও ওষুধ খাবেন না, অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটি আবশ্যিক! নয়তো ভুগবেন...