সারাদিন কম্পিউটার আর নয়তো মোবাইল ঘাটতে গিয়ে অকালেই চোখের সর্বনাশ! পাওয়ার বেড়ে গিয়ে ঠিকভাবে দেখতে পাওয়া দায়! কারওর প্লাস মাইনাস কারওর বা বাইফোকাল আবার কারওর ক্ষেত্রে, সিলিন্ড্রিক্যাল পাওয়ার - এককথায় নিজের চোখে দেখার ক্ষমতা এখন অনেকেরই নেই। চারচোখ লাগিয়েও যেন শান্তি নেই!
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ঐশ্বর্য সন্তোষ বলছেন, চোখের সমস্যার সমাধান শুধু চশমার গ্লাসে নয় বরং আয়ুর্বেদের পাতায় রয়েছে। বেশ কিছু উপকরণ প্রতিদিনের খাবারের মতই গ্রহণ করতে পারলে চোখের দৃষ্টিশক্তি যেমন বাড়ে তেমন অন্যান্য সমস্যাও হ্রাস পায়। সেগুলি কী কী?
প্রথম, ত্রিফলা পাউডারের সঙ্গে ঘি এবং মধু মিশিয়ে রাত্রিবেলা সেবন করলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়।
দ্বিতীয়, আমলকী! এটি ভিটামিন সি এর এক দারুণ উৎস, বলা উচিত একটি কমলালেবুর থেকেও বেশি পুষ্টিকর। তাই এটি খেতে পারলে আপনার পক্ষে বেশ ভাল। এটি রেটিনাল কোষগুলিকে পুষ্টি প্রদান করে, সঙ্গেই ডায়াবেটিস এবং রেটিনোপ্যাথি প্রয়োগে সহায়ক।
তৃতীয়, সৈন্ধব লবণ! একমাত্র এই নুন চোখের জন্য সবথেকে বেশি ভাল। এটি দিয়ে রান্না করলে সেটি চোখ এবং ব্লাড প্রেসারের পক্ষে ভাল।
চতুর্থ, কিসমিস। এটিতে থাকা পলিফেনলিক ফাইট নিউট্রীয়েন্ট চোখের রেডিক্যাল থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। চোখের দৃষ্টিতে জ্যোতি নিয়ে আসে, একে অবক্ষয়ের হাত থেকে বাঁচায়। সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করতে বেশ কার্যকরী।
পঞ্চম, মধু। এটি চোখের পক্ষে বেশ গুণমান সম্পন্ন। মধু চোখের রেটিনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে তাই এটি সেবন করলে আপনার লাভ হয়।
শেষ হল, ঘি! হজম শক্তি যদি ভাল হয় তবে ঘি সেবনে চোখের সমস্যা কমে! দৃষ্টিশক্তি বাড়ে, অনেক ওষুধেও ঘি ব্যবহার করা হয়।
অবশ্যই যদি বেশি অসুবিধা হয়, কিংবা চোখে অস্বস্তি অনুভব করেন চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলুন।