Advertisment

সাতটি উপায়ে স্ট্রোকের সম্ভাবনাকে দূর রাখুন

অনিয়ম করলেই অশনি সংকেত

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

প্রতীকী ছবি

স্ট্রোক প্রতিরোধ করা কিন্তু সম্পূর্ণ নির্ভর করে নিয়মের ওপর। অনিয়ম জীবন যাত্রা মানবদেহকে এগিয়ে দেবে মৃত্যুর দিকে। আর যাই হোকনা কেন বেশ কিছু কারণেই কিন্তু স্ট্রোক যেকোনও বয়সে হতে পারে। এবং এর সঙ্গেই ধীরে ধীরে আসতে পারে হৃদরোগের সমস্যা। চিকিৎসক জি প্রকাশ বলছেন সারাদেশে ১৮ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয় স্ট্রোকের কারণে। 

Advertisment

যে বিশেষ কারণগুলি এর জন্য দায়ী তার মধ্যে অনিয়ম জীবন যাত্রা, দেরি করে ঘুমানো থেকে অত্যধিক শারীরিক অত্যাচার, ধূমপান, মদ্যপান এমনকি পরিবেশের ভারসাম্য গোলমাল ইত্যাদিও দায়ী। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা ডিকসা ভাবসর মনে করেন স্ট্রোকের কোনও বয়স হয় না। এবং মানুষের চারিদিকের পরিস্থিতি এর জন্য দায়ী। তার সঙ্গেই নিজেদের পছন্দ তথা কীভাবে একজন মানুষ তার জীবন কাটবে সেই অনুযায়ীও কিন্তু হতে পরে সমস্যা। তাই সাতটি উপায়ের তিনি উল্লেখ করেছেন যার মাধ্যমেই কিন্তু স্ট্রোকের হাত থেকে একটু হলেও রেহাই সম্ভব। 

প্রথম, ওজন কম করতে হবে। স্থূল দেহ কিন্তু রোগের আরত। তাই ওজন যেভাবেই হোক কম রাখতে হবে। খাওয়াদাওয়া তে বদল আনুন। ক্যালোরি কম খান। 

দ্বিতীয়, ব্লাড প্রেসার মারাত্মক আয়ত্বে রাখতে হবে। এটি কিন্তু খুব খারাপ শরীরের পক্ষে। এমনিও বংশগত রোগ হলে আরও চাপের। এই ক্ষেত্রেও একটু খেয়াল রাখুন। প্রেসার থাকলে তাকে আয়ত্বে রাখুন। নিয়ম করে ওষুধ খান। 

তৃতীয়, কোলেস্টেরল এর মাত্রা ঠিক রাখতে হবে। নাহলে গন্ডগোল। যেগুলি খাওয়া একেবারেই বারণ সেটি খাবেন না। বরং ডাক্তারের কথা মত খাবার খান। 

চতুর্থ, ডায়াবেটিক রোগী আপনি? তাহলে এটিকেও কন্ট্রোলে রাখুন। প্রতিদিন হাঁটা অভ্যাস করুন। নিজেকে শান্ত রাখুন, পরিশ্রম করুন। 

পঞ্চম, ধূমপান এখন বেশিরভাগ মানুষের সমস্যা। আর সেই কারণেই ধূমপান কমিয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে বিড়ি কিংবা গাঁজা একেবারেই নয়। যদি প্রথমেই ছাড়তে অসুবিধে হয় তাহলে কমিয়ে দিন। তবে বেশি বাড়াবাড়ি করবে না। 

ষষ্ঠ, মদ্যপান কোনও ক্লাসি বিষয় নয়। এটি আপনার জীবনে ক্ষতি করতে পারে। তাই বুঝে শুনে যা করবেন। বেশি একেবারেই নয়। 

সপ্তম, রোজ মনে করে ব্যায়াম অবশ্যই করবেন। অন্তত ২০ মিনিট মত যোগা এবং এক্সারসাইজ করতেই হবে। শরীর চালনা না করলে রোগ উল্টে বাসা বাঁধবে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে এটি করতেই পারেন। 

তারসঙ্গে তিনি ধারণা দেন এর লক্ষণ সম্পর্কে, বলেন যদি আপনার শরীরে এই ধরনের পরিবর্তন গুলো চোখে পরে তাহলে জানবেন আপনার একটু হলেও সমস্যার উল্লেখ রয়েছে। 

যদি হাসার সময় মুখের একপাশ ক্রমশই ঝুলে যায়! 

দুই হাত মাথার ওপরে তোলার পর একটি যদি ক্রমশই নিচের দিকে নামতে থাকে। 

কথা বলার সময় উচ্চারণ অস্পষ্ট কিংবা অদ্ভুত লাগে শুনতে? - তাহলে আগে থেকেই সতর্ক থাকুন

নিজের শরীরের দিকে খেয়াল রাখবেন, ভুল ত্রুটি করবেন না, নিয়ম গুলি মেনে চলুন।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

health stroke prevention
Advertisment