ইউরিন ইনফেকশন যথেষ্ট সাধারণ একটি রোগ। সাধারণত শারীরিক সমস্যা যেমন টাইপ টু ডায়াবেটিস তথা, ব্লাড সুগার এমনকি কিডনির সমস্যা থেকেই এর সূত্রপাত। আগে জানানো হয়েছিল ইউরেনাল পেইন থেকেই ধীরে ধীরে এই ইনফেকশন রূপ নেয়। এবং সঙ্গেই কোন কোন অভ্যাসের কারণে এটি আরও চাগাড় দিতে পারে সেই সম্পর্কেও জানানো হয়। তবে এবার আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা নিতিকা কোহলি জানিয়েছেন একে রোধ কীভাবে করা সম্ভব।
Advertisment
তিনি বলছেন, প্রচুর মানুষ এই রোগ সারাতে সবসময় চিকিৎসার কিংবা অ্যালোপ্যাথি ট্রিটমেন্টের সাহায্য নেন, তবে আয়ুর্বেদের পথেও কিন্তু এর চিকিৎসা সম্ভব! কীভাবে? ইউরিনারি ইনফেকশন রোধে এর থেকে ভাল উপায় আর কিছুই হতে পারে না। সমস্যার সমাধানও হবে সঙ্গে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও পড়বে না।
তিনি বলছেন সারাদিনে একবার বাটার মিল্ক খেতেই হবে। এতে মূত্র দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকার সমস্যা কমে যায়। শরীরের তিন দশার মধ্যে ভাতা দশার মাত্রা কম করে। ফলে শরীরের অপ্রয়োজনীয় টক্সিন সহজে বেরতে পারে।
বাড়িয়ে বাইরে আছেন, বা রাস্তাঘাটে বাথরুম ব্যবহার করতে চাননা? এটি কিন্তু বেশি ক্ষতিকারক। মূত্র পরিষ্কার না হলে ইনফেকশন বাড়তে পারে। তাই চেষ্টা করবেন সঙ্গে স্যাভলন অথবা পি সেফ ব্যবহার করুন, তবে মূত্র আটকে রাখবেন না। শরীরের অপর্যাপ্ত লবণ, টক্সিন না বেরলে খুব সমস্যা।
শরীরের সুস্থতায় যে ধরনের ব্যায়াম গুলি করতে হবে তার মধ্যে গমুখাসন, পবনমুক্তাসন, বিপরীত করাই এগুলি অভ্যাস করলে ভাল। পেলভিস করভিং কিংবা স্পাইনাল বেন্ডিং জাতীয় কিছু অভ্যাস করবেন না।
ঋতুস্রাব চলাকালীন নিজেকে আরও বেশি করে হাইজিন রাখতে হবে। পরিষ্কার থাকা, অসুবিধা হলেই পরিষ্কার নতুন ন্যাপকিন ব্যবহার করা এগুলি মানতেই হবে। শরীর এইসময় বেশ হালকা থাকতে চায়, নিয়মিত হাইজিন মেনে চলুন।
সাবধান! একটি বিষয় সাংঘাতিক ভাবে খেয়াল রাখবেন মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া কম করুন। এতে কৃমির উপদ্রব বাড়লে সমস্যা। তার সঙ্গেই ইনফেকশন আরও চাগাড় দিতে পারে তাই মেপে ঝুঁকে খান।