সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর রাত্রে শুতে যাওয়ার আগে খাওয়াদাওয়া লেগেই থাকে আর তার সঙ্গেই এদিক ওদিক মুখ চলাও খুব স্বাভাবিক বিষয়। কী ভাবছেন? আপনিও একই! অনেকেই আছেন যারা কাজ করতে করতে সবসময় খাওয়াদাওয়ার কথা ভাবতে থাকেন। আবার অনেকেই আছেন এক নাগাড়ে কাজ করতে করতে দিব্য কুটকুট করে খেতে থাকেন।
Advertisment
কথায় বলে, লোভ খুব সাংঘাতিক! একে সহজেই কন্ট্রোল করা যায়না। খাবার দেখলেই অনেকে আত্মসমর্পণ করেন এবং এর থেকেই শুরু সমস্যা। বিশেষ করে মিষ্টি এবং ভাজাভুজি খাওয়ার পরে শরীরের অসুবিধা বেশি মাত্রায় বাড়তে থাকে। কিন্তু ঘন ঘন খাবার খাওয়া বেশ আপত্তিজনক।
সারাদিনে মেনে শুনেই কিন্তু খাওয়া উচিত। ওজন বৃদ্ধি, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, প্রেসার এবং সুগার এছাড়াও কোলেস্টেরল - অম্বল জাতীয় সমস্যা সবই হতে পারে। খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যেমন শরীর চালনার প্রয়োজন হতে পারে তেমনই হতে পারে একে কম করাও, নইলে কোনও লাভ হবে না।
যোগ প্রশিক্ষক জুহি কাপুর বলেন, এমনিও উৎসবের মরশুমে অনেক সময়ই খাবার দাবারের অনিয়ম এবং গাফিলতি দুটির কারণেই শরীরের গোলমাল হওয়া স্বাভাবিক। তারপরেও যেমন ব্যায়াম শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঘটানোর এক রাস্তা তেমনই সারাদিনে খাবার খাওয়ার মাত্রা কম করতে কিন্তু আপনাকে কাজ করতেই হবে। সেই সাপেক্ষেই তিনটি টিপস দিয়েছেন তিনি। সেগুলি কী?
প্রথম হল, জ্ঞানমুদ্রা। সারাদিনে ১০ মিনিট এটি অভ্যাস করলে খাবারের প্রতি মোহ এবং মায়া দুর হতে পারে।
সোজাভাবে বসে পড়ুন। হাত হাঁটুর ওপর প্রসারিত করুন। তালুর মুখী করুন হাত। চোখ বন্ধ করুন। শ্বাস নিন। তর্জনী ভাঁজ করুন এবং বুড়ো আঙ্গুলের ওপরের ভাগে তর্জনীর মাথা দিয়ে স্পর্শ করুন। বাকি আঙ্গুলগুলি প্রসারিত রাখুন। ১০ মিনিটের জন্য এটি করুন।
দ্বিতীয় হল, আস্তে ধীরে খান। গোগ্রাসে খাবেন না। এবং খাওয়ার মাঝে মাঝেই চামচ নিচে রেখে দিন অথবা কয়েক সেকেন্ড বিরতি নিন।
তৃতীয়, প্রচুর পরিমাণে জল খান। সারাদিনে জল খেতে ভুলবেন না। নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে।
খাবার খাওয়ার থেকে মাঝেমধ্যে ছুটি নেওয়া ভাল এতে শরীর ভাল থাকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন