ডালহৌসি স্কোয়ার। নিত্যযাত্রীদের কাছে বেশি পরিচিত 'আপিস পাড়া' নামে। এখন যদিও অফিস পাড়া সরে সরে গেছে রাজারহাট আর সল্টলেক জুড়ে, তবু কলকাতার অফিস পাড়া বলতে কিন্তু এখনও এই ডালহৌসি অঞ্চলকেই বোঝায়। সদাব্যস্ত এই আপিস পাড়ার ইতিহাস আর সংস্কৃতিকে খানিকটা ধরে রাখতে অভিনব প্রয়াস নিয়েছে বেঙ্গল চেম্বার অ্যান্ড এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজ আপিস পাড়ার খাবার নামে একটি নতুন ও অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে। কোনও অঞ্চলের সংস্কৃতি ধরতে চাইলে অবশ্যই ধরতে হবে অঞ্চলের খাবার দাবার। আর কলকাতার ডালহৌসি চত্বর এদিক থেকে একবারে অভিনব। হরেক রকম স্বাদের সমাহারে দিনের বেলার ডালহৌসি যেন এক টুকরো ভারতবর্ষ।
২২ শে ফেব্রুয়ারি লিয়ন্স রেঞ্জ - স্টক এক্সচেঞ্জের রাস্তা থেকে বেঙ্গল চেম্বারে যাওয়ার রাস্তায় একটি গালা স্ট্রিট ফুড ফেস্টিভ্যালের আয়োজন কিন্তু এই ভাবনা থেকেই।
অনুষ্ঠানের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত দ্য বেঙ্গল চেম্বার এর মিডিয়া, মিউজিক এবং ফিল্মস কমিটির চেয়ারম্যান মিঃ অরিন্দম শীল বলেন, “খাদ্য একটি অঞ্চলের সংস্কৃতির সমার্থক এবং ডালহৌসি অঞ্চলটি কেবল আমাদের ঐতিহ্যের সাথেই জড়িত ছিল না, এর একটি বিরাট খাদ্য সংস্কৃতি বিদ্যমান রয়েছে"।
“আমরা বেঙ্গল চেম্বারের এই অনন্য প্রয়াসে সিএসআর উদ্যোগের অংশ হিসাবে এগিয়ে এসেছি যেখানে ১৫০ জন বিক্রেতাকে নিয়ে চারটি কর্মশালারআয়োজন করা হয়েছে, যা ২২ শে ফেব্রুয়ারির গালা স্ট্রিট ফুড ফেস্টিভ্যালের যে আয়োজন করা হবে তার মাধ্যমে পরিপূর্ণতা পাবে," জানান দ্য বেঙ্গল চেম্বার এর সিএসআর কমিটির চেয়ারম্যান শ্রী জিতেন্দ্র কুমার সিং।
দ্য বেঙ্গল চেম্বারের ডিরেক্টর জেনারেল শ্রী শুভদীপ ঘোষ জানান, “আমাদের চিন্তাভাবনা ছিল যে যাদের হাতে এত সুস্বাদু খাবার প্রস্তুত হচ্ছে, এই অফিস পাড়ায়ে, তাদের সুরক্ষা, তাদের ঐতিহ্য কে সংরক্ষন করার জন্য আমরা কি কি পদক্ষেপ নিতে পারি। আর আমরা এও ভেবেছি যে এদের কে আরও আধুনিক, ও উন্নত, সময়োপযোগী করে তোলা গেলে এই শহরের টুরিজিম ব্যবস্থাও আরও উন্নত ও অগ্রসর হবে। এছাড়া আমরা সবাই জানি অফিস পাড়ার খাবার এর এক সূপ্রাচীন ঐতিহ্য আছে, সেই ঐতিহ্য কে বজায় রেখে এবং আধুনিকতা কে সঙ্গী করে, কি কি ভাবে স্ট্রিট ফুড বিক্রেতাদের আরও উন্নতি সাধন করা যায় এবং একই সাথে আমাদের প্রিয় এই শহর কে সবুজ আর পরিচ্ছন্ন রাখা যায়, তার জন্যই আমাদের এই ওয়ার্কশপ গুলির আয়োজন করা”।