সামনেই ঈদ উল ফিতর, সেই উপলক্ষেই একমাস ধরে রমজান রাখবেন ইসলাম সম্প্রদায়ের মানুষরা। এক মাসের রোজা পালন করবেন সকলেই। নিয়ম অনুযায়ী এই সময় দুবার খাবার খাওয়া হয়। সকালে সূর্য ওঠার আগে একবার 'শেহরি' এবং বিকেলে 'ইফতার'। দেশজুড়ে তাতে থাকে নিত্যনতুন সব খাবার, স্থান বিভেদে সেই খাবারের তালিকাও পরিবতর্ন হতে থাকে।
Advertisment
রমজান মানেই নানা ধরনের বাদাম, শুকনো খাবার, খেজুর এবং বরফির সমাহার। এবং প্রতিটি খাবারই কিন্তু সমান গুরুত্বপূর্ন। ইফতারের খাবারে থাকে জাঙ্ক ফুড, মাংসের নানা আইটেম কিংবা মিষ্টি জাতীয় খাবার। সেগুলি স্বাদে যেমন দারুণ তেমনই দেখতেও সুন্দর।
ঐতিহ্য অনুযায়ী, ইসলাম সম্প্রদায়ের সকলেই বেশিরভাগ সময় নিজেদের রোজা ভাঙেন জল এবং খেজুর দিয়েই। তাদের পানীয় হিসেবে থাকে সেরবত, এছাড়াও দুধ এবং রুহ আফজা এগুলিও । এছাড়াও দুই ধরনের খাবার অর্থাৎ নিরামিষ এবং আমিষ দুই প্রকারই থাকে। বাড়ির সঙ্গে সঙ্গে কাছের মানুষ, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব সকলেই আমন্ত্রিত থাকেন এই ইফতারে।
শেহরি মানেই হালকা পাতলা খাবার, কিন্তু ইফতার মানেই তাতে থাকবে নানান পদের আয়োজন। রিচ খাবার থাকে এতে, চিকেন থেকে মটন - এই সময় উৎসবের আমেজ। বিশেষ করে হালিম, রগানজুস, কিংবা রেজালা। বিশেষ করে হায়দ্রাবাদ কিংবা দক্ষিণের প্রদেশে মুসলিমরা হালিম বেশি খান। তামিলনাড়ু এবং কেরালার মুসলিমেরা, নম্বু কাঞ্জি বেশি পছন্দ করেন - চিকেন, সবজি এবং যব দিয়ে বানানো সেই খাবার। বলা হয় অনেক সময় লাগে হালিম এবং নম্বু কাঞ্জি তৈরি হতে - দমে বসিয়ে রাখতে হয়।
উত্তরের দিকে স্ট্রিট ফুড ছাড়াও পকোড়া, সিঙ্গারা, ভাজাভুজি, ফ্রুট চাট কিংবা ডিমের কোনও আইটেম বেশ জনপ্রিয়। অন্যদিকে পূর্বের মুসলিমরা মাছ, মুঘলাই স্বাদের খবর, তন্দুর খেতে বেশি পছন্দ করেন। শেষ পাতে মিষ্টি, সঙ্গেই ফ্রুট ট্রায়ফল, কিংবা কুলফি অথবা ফিরনি। ইফতারের এই আইটেম কিন্তু জনপ্রিয় সকলের মধ্যেই। শুধু স্বাদ নয়, নানাধরনের ফল, ঠান্ডাই মিলিয়েই পরিবেশ বেশ সুন্দর।