একমাত্র নতুন নতুন প্রেমে যদি না পড়েন, অথবা পরের সকালে পরীক্ষার খাতায় উগরে দেওয়ার তাড়না না থাকে, ঘুম না হওয়া কিন্তু মোটেই ভালো কথা নয়। পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজনীয়তার কথা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। ঘুমের উপকারিতা, উপযোগিতা দেশে দেশে চর্চিত হচ্ছে বেশ কিছু কাল ধরেই। আধুনিক বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে বেশ কিছু লাইফ স্টাইল ডিজিজে নাকি পর্যাপ্ত ঘুমটাই ওষুধ।
অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস, শরীরচর্চার অভাব, গ্যাজেট নির্ভর যাপন আধুনিক জীবনে এনে দিয়েছে ঘুম সংকট। ক্লান্তি আছে শরীরে, অথচ ঘুম নেই। আর ঘুম ভুলেছেন বলে নাওয়া খাওয়াও লাটে উঠেছে। অগত্যা চোখের নীচে কৃষ্ণ গহ্বর! তবে এসব থেকে বাঁচার উপায় আছে। আধুনিক গবেষণা বলছে এমন কিছু খাবার রয়েছে, যা খেলে শরীরে মেলাটোনিন এবং কর্টিসল হরমোন নিঃসরণ হয়।
মাইগ্রেন মুক্ত জীবনের কিছু সহজ টোটকা জেনে নিন
এবার চটপট নিজের দৈনিক মেনুতে ঢুকিয়ে ফেলুন এ সমস্ত খাবার
আলমন্ড
ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর আলমন্ড মস্তিষ্কের বিশ্রামের জন্য খুব দরকার। শর্করা বা চিনি থাকে না বলে জলখাবারেও এটি বেশ কার্যকরী। রোজ ৩০ গ্রাম আলমন্ড খেলে রাতের ঘুম ভাল হতে বাধ্য।
গরম দুধ
ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামে ভরপুর গরম দুধেও প্রচুর পরিমাণ মেলাটোনিন থাকে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধ খেলে ঘুম গাঢ় হবে।
শামোমাইল টি
চা যে শুধু ঘুম কাড়তে নয়, ঘুম আনতেও অব্যর্থ, জানতেন না নিশ্চয়ই। তবে এ ক্ষেত্রে শ্যামোমাইল টি খেতে হবে। শুধু যে ভালো ঘুম হবে, তা নয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
ফল
র্যাস্পবেরি, জাম, কলা, আপেল, কমলালেবু, কিসমিস, আনারস, তাল এই সব ফল মেলাটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে।
নিয়মিত একটু শরীরচর্চা করে স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসে অভ্যস্ত থাকলে এবং মানসিক অবসাদ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখলে ভালো ঘুম হতে বাধ্য।
Read the full story in English