স্বীকার করুন ছাই না করুন, দিনের কোনও না কোনও সময় সাংঘাতিক মানসিক চাপে থাকেন আপনি। কেউ কেউ আবার সারা দিনই। সকালে ঘুম থেকে উঠে, কাজে বেরোনোর সময়, কাজ থেকে ফিরে, সারাক্ষণ কিছু না কিছু ভয়ে থাকেন আপনি। আসলে আমাদের মধ্যে অনেকেই মাত্রাতিরিক্ত উদ্বেগের শিকার নিজেদের অজান্তেই।
আধুনিক জীবনে অ্যাঙ্গজাইটি বা উদ্বেগে আক্রান্ত হওয়া খুব অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু একটু চেষ্টা করলেই উদ্বেগের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারি আমরা। দৈনিক ডায়েটে কিছু বদল আনলেও এটি করা সম্ভব। দেখে নেওয়া যাক সেরকম কিছু খাবারের তালিকা।
ভেঙে চুরমার হোক গুচ্ছের যত ডায়েট-মিথ
ডিম
আহা! এমন খাবারের নাম শুনলেই তো উদ্বেগ গর্তে লুকোয়। ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তাছাড়া ভিটামিন ডি এবং নানা খনিজ থাকে ডিমে। এছাড়া ডিমে থাকা সেরোটোনিন আমাদের মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তবে ভাজা ডিমের চেয়ে সেদ্ধ ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো।
কুমড়োর বীজ
কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়া মানসিক চাপ, উদ্বেগ কমাতেও কুমড়োর বীজ খুব উপকারী।
ডার্ক চকোলেট
ডার্ক চকোলেটে যে কোকো থাকে, তা আমাদের মুড ভালো করে দেয়। পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড এই দুই যৌগ আমাদের মস্তিষ্কের কোশ সতেজ রাখতে সাহায্য করে, স্ট্রেস কমায়। তবে এক্ষেত্রে যে চকোলেটে ৭০ শতাংশ অথবা তার বেশি কোকো থাকে, সেটাই বাছুন।
চ্যামোমিল
উদ্বেগ কমাতে খুব জনপ্রিয় খাবার চ্যামোমিল। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। চ্যামোমিল নির্যাস (চ্যামোমিল চা পান করা খুবই উপকারী) টানা আট সপ্তাহ পান করলে উদ্বেগ অনেকটাই কমে।
ইয়োগার্ট
আপনি যদি ঘন ঘন অ্যাংজাইটি বা উদ্বেগে আক্রান্ত হন, আপনার দৈনিক ডায়েটে ইয়োগার্ট নিয়ে আসুন। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষার ফলাফল বলছে কী যদি টানা চার সপ্তাহ দিনে দু’বার ইয়োগার্ট খায়, তার মস্তিষ্ক অনেক বেশি কাজ করে।