হার্টের সমস্যার এখন কোনও বয়স নেই। ছোট কিংবা বড়, স্ট্রেস থাকলেই সেই থেকে হার্টের সমস্যা খুব স্বাভাভিক বিষয়। আর বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে করোনা পরবর্তীতে হার্টের সমস্যা নতুন করে চাগাড় দিচ্ছে অনেকের শরীরেই। আর একবার হৃদরোগ ধরে গেলে কিন্তু আর রেহাই নেই। হাজার অপারেশান হোক কিংবা চিকিৎসাপ্রণালি, একটা না একটা সময় এটি বিরাট সমস্যার সৃষ্টি করবে। এটিকে ভাল রাখার উপায় প্রসঙ্গেই ধারণা দিচ্ছেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসক অন্বেশা মুখোপাধ্যায়।
Advertisment
তিনি বলছেন, মানবদেহে এখন উচ্চ রক্তচাপ হোক কিংবা স্ট্রেস এর থেকেই হৃদযন্ত্রের গতি বেড়ে যেতেই পারে। সঙ্গেই ধমনীতে রক্তের মাত্রা বেড়ে গেলেই সেটি কিন্তু মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। হার্টের সঙ্গে জরিয়ে আছে ভাল করে স্বাস নেওয়ার বিষয়টি। উচ্চ রক্তচাপ কম করতে গেলে সবথেকে ভাল অপশন যোগা এবং প্রাণায়াম…তাল মিলিয়ে কমতে থাকে স্ট্রেস, যেটি হার্টের সমস্যা কম করতে পারে। তিনি আরও বলছেন, যোগা করলে ঘুম ভাল হয়। খাবারের সঙ্গেই ডায়েটে ভাল প্রভাব পরে, দৈহিক ওজন যেমন সঠিক থাকে তেমনি দেহের ভাতা দশা বেশ আয়ত্বে থাকে। হার্ট শরীরের তিনটি প্রয়োজনীয় অর্গানের একটি, তাই একে ভাল রাখতে হবে অবশ্যই!
হার্ট ভাল রাখতে যে ব্যায়ামগুলি করবেনঃ-
অনুলোম বিলম করতে হবে মিনিট পাঁচেকের জন্য
ভ্রামারি ৫ মিনিটের জন্য
সূর্য নমস্কার ৫ মিনিটের জন্য
বজ্রাসন অন্তত ৫ মিনিট
পশ্চিমত্তাসন ৫ সেট করতে হবে
বালাসন এবং সেতু বন্ধাসন মিনিট দশেক
শবাশন করতে হবে ১০-১৫ মিনিট
আয়ুর্বেদিক যে ওষধিগুলি আপনার কাজে আসতে পারেঃ-
অর্জুন গাছের ছাল, সরিভা পাতা, নাগফানি, দারচিনি, অশ্বগন্ধা, আমলকী, লাসুনা, গুগুল, কৃষ্ণ কমল, এবং দাদিম - এগুলি হার্টের সমস্যায় ভাল কাজে দিতে পারে। এছাড়াও যারা মদ্যপান কিংবা সেই জাতীয় পানীয় খেতে পছন্দ করেন, হার্টের সমস্যায় লাল র্যাস্পবেরি এবং দারচিনি দেওয়া একটি পানীয় আপনারা সেবন করতে পারেন।
রইল বেশ কিছু উপদেশঃ-
চিনি, অত্যধিক নুন, এগুলি খাওয়া বন্ধকরে দিতে হবে। ঝাল, তেল মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। খাসির মাংস একেবারেই নয়। দেরি করে ঘুমানো একদম নয়। ধূমপান এবং মদ্যপান বন্ধ করুন। রোজের খাবারে ঘি যোগ করতে হবে। টক জাতীয় ফল খেতে হবে। রোজ ব্যায়াম করুন, তবে বেশিমাত্রায় নয়। স্ট্রেস এবং উদ্বেগ দূরে করুন। অ্যান্টি হাইপার টেনসিভ ওষুধ খেতেই হবে। নিয়ম মেনে ইসিজি, ব্লাড প্রেসার এগুলি দেখতে হবে। কোলেস্টেরলের দিকে নজর দিন, একে বাড়তে দেবেন না।