বর্তমান যুগে দাঁড়িয়ে, মাছ মাংস ছাড়া মানুষ ভাবতে পারে এটি ভাবাও যেন অসম্ভব! নিরামিষ শুনলেই বেশিরভাগ মানুষের মন খারাপ হয়ে যাওয়ার জোগাড়। তবে শরীরকে সুস্থ রাখতে কিন্তু নিরামিষ কিছু খাবার কিংবা শস্যদানা দারুণ কাজে আসতে পারে এবং এগুলি কিন্তু সুস্বাস্থ্য প্রদান করে। চাইলে মাছ মাংসে অভাবও পূরণ করতে পারে।
Advertisment
পুষ্টিবিদ চিকিৎসক গীতিকা গুপ্তা বলছেন, যদি আপনি নিরামিষাশী হন তাহলে এটি আপনার জন্য জেনে রাখা খুব দরকারি। এমনকি যারা নিরামিষ খান না, তাদেরও কিন্তু এটি জানা দরকার। সব সময় আমিষ খেলেই হল না, শরীরে সবকিছুর প্রয়োজন আছে। তার সঙ্গে তিনি এমনও বলেন অনেকেই মনে করেন, নিরামিষ খাবার খেলে কিংবা শস্যদানা খেলে শরীরে উপযুক্ত প্রোটিন পৌঁছায় না।
তার বক্তব্য, গাছপালা কিংবা নিরামিষ আহারেও সমান প্রোটিন এবং ভিটামিন থাকতে পারে। সেই তুলনায় বিচার করতে গেলে এটির কারণেই পশু পাখিদের শরীর আরও বেশি করে সমৃদ্ধ হয়, তাহলে এটি মানুষকে কীভাবে সাহায্য করতে পারে সেটা নিশ্চই বোঝা যাচ্ছে। কী কী খাবেন ভাল থাকতে গেলে?
ওটস: এটির সম্পর্কে আলাদা করে কোনও পরিচয় লাগে না। তবে চেষ্টা করতে হবে এটিকে সকলের খাওয়ার। ওজন কমানো থেকে সুগারের মাত্রা হ্রাস করা এমনকি হৃদরোগ জাতীয় সমস্যা কমাতে এটি বেশ ভাল কাজ করতে পারে এবং খেতেই টেস্টি।
ডাল জাতীয় শস্য : এটি এক কাপ চালের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বিশেষ করে ব্রাউন রাইসের সঙ্গে খেলে কিন্তু আপনার পক্ষে বেশ ভাল। এক বাটি মাংসে যতটা প্রোটিন থাকে এটি থেকেও সেটিই পাওয়া যায়।
পিনাট বাটার : বেশিরভাগ সময় খেলোয়াড়দের এটি খেতে বলা হয়। লবণ নেই, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ। অল্প পরিমাণে মিনারেলস পাওয়া যায়। তাই এটি আপনার জন্য ভাল কার্যকরী।
ছাতু : হজমের সমস্যায় হোক কিংবা খাবারে উপস্থিত ভিটামিন, ছাতু এবং এর থেকে প্রাপ্ত আটা কিন্তু শরীরকে ঠান্ডা রাখে। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ ভাল।
তাই শুধু মিট প্রোটিন নয় মাঝেমধ্যে ভেজ খাবারও খাওয়া উচিত।