বেশ কিছুদিন হলো একক অনুষ্ঠান করছেন তিনি। বলা ভালো, বেশ কিছু বছর। যদিও তাঁর নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় একটি রক ব্যান্ডের সঙ্গে। তাঁকে একা মঞ্চে দেখতে এখনও অভ্যস্ত নই আমরা। তিনি রূপম ইসলাম, যাঁর একক অনুষ্ঠানের দৌলতে ধীরে ধীরে গড়ে উঠছে তাঁর অন্য এক পরিচয়। আজ, অর্থাৎ ৮ জুন, এরকমই একক এক অনুষ্ঠানে ঢাকুরিয়ার সিএলটি প্রেক্ষাগৃহে ফের মঞ্চে উঠবেন রূপম, যাঁকে অধিকাংশ বাঙালিই চেনেন ফসিলস-এর লিড ভোকালিস্ট হিসেবে।
মূলত ঘরোয়াভাবে অতিথি বা বন্ধুবান্ধবের জন্য গানের আড্ডা থেকেই একক অনুষ্ঠানের ভাবনা, জানান রূপম। সেই আড্ডার মেজাজই শ্রোতাদের উপহার দেওয়ার লক্ষ্যে যাত্রা শুরু, যেখানে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু স্রেফ রূপম, ফসিলসের রূপম নন। যে কারণে এই একক অনুষ্ঠানগুলিতে তুলনায় অল্পশ্রুত গান পরিবেশন করেন তিনি। "যদিও আমার অনেক গানই যেহেতু ইতিমধ্যে অ্যালবাম বা সিঙ্গল হিসেবে প্রকাশিত হয়েছে, এবং আমার একক অনুষ্ঠানেরও কিছু নিয়মিত দর্শক-শ্রোতা রয়েছেন, এই গানগুলোর একটা আলাদা চাহিদা তৈরি হয়েছে," বলছেন রূপম।
আয়োজন কিন্তু নেহাতই সাদামাটা। গান গাওয়ার সময় হাতে থাকে গিটার, সামনে সিন্থেসাইজার। আর কোনও যন্ত্রানুসঙ্গ নেই, নেই কোনও 'ভোকাল সাপোর্ট'। কিন্তু যা আছে, তা হলো পূর্ণ স্বাধীনতা, নিজের পছন্দের গান গাওয়ার, বানিজ্যিক লেনদেনের বাইরে গিয়ে গাওয়ার, প্রয়োজনে অন্যের সাহায্যার্থে গাওয়ার। "অনুরোধ এত আসে যে একটা অনুষ্ঠানে কুলিয়ে ওঠা সম্ভব নয়। তাই কোনও একক অনুষ্ঠানে গান রিপিট হয় না," বলেন রূপম। ব্যাপারটা কঠিন না? "একক পুরো জিনিসটাই কঠিন," হাসেন গায়ক। "যেখানে কোনও যন্ত্রসঙ্গী থাকছেন না, আমি কোনও খাতা দেখে গাইছি না। যা বাজনা বাজছে, সব আমিই বাজাচ্ছি, এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় গানগুলো বাদ দিয়ে গানের লিস্ট বানাচ্ছি। কেউ আমার অনুষ্ঠানে আসবেন অথচ আমার জনপ্রিয় গান শুনতে চাইবেন না, সেই জায়গাটা তৈরি করাটা কঠিন।"
প্রসঙ্গত, বেশ কিছু বাদ্যযন্ত্রই কিন্তু একা বাজাতে পারেন রূপম। গিটার, সিন্থেসাইজার তো বটেই, তা ছাড়াও ইউকুলেলে এবং মাউথ অরগ্যান দিব্যি বাজান। তো গান নির্বাচনের সময় কি একথা মাথায় থাকে, যে মঞ্চে আর কোনো সাহায্য পাওয়া যাবে না? রূপমের উত্তর, "আমার ধারণা, গান গাইতে জানলে একথা মাথায় রাখার দরকার নেই। প্রয়োজনে একেবারে খালি গলায় গেয়েও জমিয়ে দিতে পারি।"
রূপমের একক অনুষ্ঠান আজ ৮ জুন, শনিবার, সিএলটি ঢাকুরিয়ায়, সন্ধ্যা ছটায়