/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/11/hormonal-imbalance.jpg)
প্রতীকী ছবি
শরীর থাকলে তাতে রোগ থাকবেই আর তার সঙ্গেই মিলিয়ে থাকবে নানান ধরনের সমস্যা। শরীরে অর্গান গুলির সঙ্গে সঙ্গে এখন বর্তমান সময়ে কিন্তু ভীষণ সমস্যার সৃষ্টি করে হরমোনাল পরিবর্তন। এবং সেই থেকেই যাবতীয় রোগের সূত্রপাত। শুধুই শারীরিক নয় তারসঙ্গে জুড়ে আছে মানসিক অবসাদ, খিদে না পাওয়া, অকারণে রেগে যাওয়া, মন ভাল না থাকা।
হরমোন যদি শরীরে অসুবিধার সৃষ্টি করে তবে কিন্তু বেজায় গন্ডগোল। কারণ এটিই রক্তের কোষগুলিকে সচল রাখার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের নানান সুস্থতার ইঙ্গিত দেয়। সঠিকভাবে ঘুমানো, খাওয়াদাওয়া করা, প্রজননের বিষয়ও কিন্তু হরমোনের হাতে। তাই এটিকে সুস্থ এবং সজাগ রাখা খুব দরকার। তবে এখন নানান কারণে এর সমস্যা বাড়ছে। প্রেগনেন্সি থেকে মনের অসুখ এর জুরি মেলা ভার। তাহলে কী বুঝলেন? মোট কথা আপনি বেশ কিছু ইন্ডিকেশন পাবেন যে আপনার হরমোন এদিক ওদিক করছে ;
- সারারাত ঘুম না আসা অর্থাৎ ইনসোমনিয়া
- ব্রণ এবং শুকনো স্কিন
- ডিপ্রেশন এবং মন খারাপ
- মাসেলের কমতি
- স্মৃতি হ্রাস
- হজমের সমস্যা এবং
- মাথা যন্ত্রণা
কথায় বলে, শরীরের প্রয়োজন আছে প্রদাহ সৃষ্টি করার এবং এই ভাবেই শরীরের প্রদাহের মাধ্যমেই হরমোনাল সমস্যা দূর করা যাবে। হরমোনাল সমস্যা কেন হচ্ছে এর থেকেও বেশি প্রয়োজন একে সঠিক মাত্রায় পরিচালিত করা, নাহলে ভবিষ্যতে সমস্যা আরও বাড়বে।
রাত্রে বেলা কম ঘুমালে, সম্পর্কের টানাপোড়েনের ক্ষেত্রে, মানসিক অবসাদের ক্ষেত্রে সত্যি ভীষণ সমস্যা দেয় এটি এবং সেই থেকেই নানান সূত্রপাত হতে পারে। তবে এর থেকে মুক্তি পাওয়ার রাস্তা আছে। বেশ কিছু নিয়ম আর সুনিপুণ খাওয়াদাওয়ার মাধ্যমেই এর থেকে আপনি রেহাই পেতে পারেন। যেমন ;
- অর্গানিক এবং বাড়িতে বানানো সাধারণ খাবার খেতে হবে, বিশেষ করে যেগুলি প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে।
- একটা নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমনোর অভ্যাস করতে হবে। রাত ১১ টার বেশি দেরি করা চলবে না এবং সমস্ত গ্যাজেটস দূরে রাখতে হবে।
- নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম কিংবা শরীরচর্চা করতে হবে। তাহলেই সঠিক সময় ঘুম আসবে।
- সূর্যাস্তের পর থেকে নীল আলোর ব্যবহার কম করতে হবে। তবেই মেলাটোনিন ভাল পরিমাণে নিঃসৃত হবে এবং আপনার শরীর ঠিক থাকবে।
- প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। সঙ্গেই লেবু জল এবং মন ভাল রাখতে মৌরি জল অবশ্যই।
- প্রতিদিন অভ্যাস করে একটা আমলকী খান। তবে লবণ ছাড়া।
- মেডিটেশন করা খুব দরকারী। এতে মন শান্ত থাকে এবং এর পরেই শরীরে কোষগুলি শান্তি পেতে থাকে।
হরমোনাল স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে আজকের পর এই নিয়মগুলি মানবেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন