সারাদিনে এমনিই কত কাজ থাকে এবং তার মধ্যে যদি আপনি ফ্রিল্যান্সার হোন তাহলে তো আর কোনও কথাই নেই। সময়ের হেরফের আপনার নাকের ডগা দিয়ে বেরিয়ে যাবে। আপনি এদিক ওদিক কিছুই বুঝতে পারবেন না এদিকে আপনার কাজের পাহাড় সময়ের মধ্যে শেষ হবে না। তার সঙ্গে তো মানসিক চাপ এবং উটকো অশান্তি রইলো।
ফ্রিল্যান্সারদের কিন্তু এই মহামারী কালীন সময়ে বেশ অসুবিধের সম্মুখীন হতে হয়েছে। একেতেই সময়ের হেরফের সঙ্গে এক্কেবারে অন্যরকম জীবনযাত্রার মধ্যে দিয়েই সময় কাটছে তাদের। খাওয়া দাওয়া হেরফের থেকে ঘুমনোর গাফিলতি এতে কিন্তু শরীর উল্টে খারাপ হতে পারে। তাই যেকোনও ফিল্ডেই সারাদিনে যতই হার্ড ওয়ারক করো না কেন নিজেকে কিন্তু নিয়ম এবং ফিটনেসের মধ্যে রাখতেই হবে।
পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা বিশেষত ফ্রিল্যান্সারদের জন্য বেশ কিছু ধরন সম্পর্কে বলেন, যে কীভাবে নিজেকে সুস্থ এবং ফিট রাখাও যাবে সঙ্গে সময়ে কাজ শেষ করে হালকা হওয়া যাবে। ছোট্ট কিছু টিপস উল্লেখ করে তিনি জানান,
- কাজের সময় একেবারেই ভাগ করে নিতে হবে এবং তার থেকে হেরফের হলে চলবে না। বরং সেই সময়ে একেবারে নির্দিষ্ট থাকতে হবে। একটু সময়ের গোলমাল মানেই কিন্তু সমস্যা।
- কাজের প্রহরে প্রহরে একেবারেই ক্যাফেইন গ্রহণ করা চলবে না অর্থাৎ ইচ্ছে হল আর কফি খেয়ে নিলাম এটি যেন একেবারেই না হয়। কেবলমাত্র দুই কাপ কফি শরীরের পক্ষে ঠিকঠাক।
- বাড়িতে একটা বিন ব্যাগ কিনে নিন। এবং যখনই মন সায় দেবে না তখনই এতে একটু আরাম করে নেবেন। বিন ব্যাগ কিন্তু স্ট্রেস কমাতে বেশ ভাল। তাই এই পন্থা ট্রাই করতে পারেন।
- ত্রিশ মিনিট মত শরীরচর্চা করতেই হবে। নাহলে কিন্তু বেশ সমস্যা। শরীর যদি এক জায়গায় বসে থেকে থেকে অচল হয়ে পড়ে তবে বাত থেকে হাঁটাচলা সর্বত্রই অকেজো হবে তাই অবশ্যই শরীরচর্চায় থাকা দরকার।
- কেবলমাত্র বাড়িতে বানানো খাবারই খান। বাইরের অতিরিক্ত মশলা যুক্ত খাবার খাবেন না। নয়তো হজমের সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক অন্যান্য অন্ত্রের সমস্যা দেখা দেবে।
- এছাড়াও যে বিষয়গুলি মেনে চললে ভাল, তার মধ্যে কাজের পর অন্তত ৩০ মিনিট মত অন্ধকার ঘরে চোখ বুজে শুয়ে থাকার অভ্যাস করুন।
- ভোরবেলা সূর্যোদয় দেখার অভ্যাস থাকলে ভাল নয়তো ঘুম থেকে উঠেই খালি পায়ে মাঠে হাঁটার বিষয়টি কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাহলে, কাজ আর অবসর ভাগ করে নিচ্ছেন তো?
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন