ইদানিং ঠিক কজন মানুষ চশমা ছাড়া ভালভাবে দেখতে পান তা অনায়াসে হাতে গুনেই বলে দেওয়া যায়। আর এই গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো রয়েছে স্মার্টফোন আর কম্পিউটরের রমরমা। সাড়ে আট ঘণ্টার ডিউটি আওয়ার্সে টানা কম্পিউটরে কাজ। বা ফোনে সারাদিন খুঁটিনাটি। এসবে চোখের অবস্থা একেবারেই শোচনীয়। চশমার কাঁচও মোটা হচ্ছে পাল্লা দিয়ে। এই তালিকায় যদি আপনারও নাম থাকে তাহলে আপনার জন্য দেওয়া রইল চোখ ভাল রাখার কিছু উপায়। একবার চোখ বুলিয়ে নিন, আর অফিসে বসেই চলতে থাকুক চোখের ব্যায়াম।
কম্পিউটারে কাজ করার সময় খেয়াল রাখুন চারদিক থেকে অতিরিক্ত আলো যেন আপনার কম্পিউটরে এসে না পড়ে। প্রয়োজনে কম্পিটারের ব্রাইটনেস অ্যাডজাস্ট করে নিন।
ঘন ঘন চোখের পাতা ফেলুন। সাধারণত প্রতি ৩-৪ সেকেন্ড পরপর চোখের পাতা ফেলা চোখের ছোটোখাটো সমস্যার সমাধান করে, একটানা কাজ থেকে চোখকে বিশ্রামও দেয়। এতে দৃষ্টিশক্তি ভাল থাকে। যাঁরা কম্পিউটার ও মোবাইল ফোন বেশি ব্যবহার করেন, তাঁদের চোখের রেটিনা শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাঁদের ক্ষেত্রে এই "আই ব্লিংকিং" ব্যায়াম খুবই উপযোগী। এতে চোখ শুকিয়ে যাওয়ার সমস্যা কমে এবং চোখের রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: একজনকে দেখে অন্যের হাই কেন ওঠে? জানেন কি?
কাজের ফাঁকে চোখকে বিশ্রাম দিন, অন্তত ৩০ মিনিট অন্তর কাজ বন্ধ রাখুন ২-৩ মিনিটের জন্য। চোখ বন্ধ করে বসে থাকতে পারেন, বা এদিক ওদিক হেঁটে আসুন। দিনে বেশ কয়েকবার এভাবে করুন। এতে চোখের রক্ত সরবরাহ বাড়বে এবং চোখের পেশি সক্রিয় থাকবে।
মাঝে মাঝে চোখে জলের ঝাপটা দিন। সারাদিনে ১০ থেকে ১৫ বার চোখে পানির ঝাপটা দিন। তাতে চোখ ঠাণ্ডা থাকে। চোখ আর্দ্র হয় ও রক্তসঞ্চালন বাড়ে। তবে একদম ঠাণ্ডা বা মাত্রাতিরিক্ত গরম জল দেবেন না চোখে।
চোখ ভাল রাখতে গাজরের পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাক-সবজি, বাদাম, কমলালেবু খান। টাটকা শাক-সবজিতে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি। যা চোখের কর্নিয়া ভাল রাখতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত ঘুম প্রয়োজন। সারাদিনের কাজের পর অন্তত আট ঘণ্টা ঘুম জরুরী। খেয়াল রাখুন রাতে ঘুমের আধঘণ্টা আগে ফোন বা ল্যাপটপ বন্ধ করে দিন। ওদিকে আর দেখবেন না।