গরম মানেই প্রচন্ড রোদের তাপে শরীরের একেবারেই নাজেহাল অবস্থা। গায়ে হাত পায় ঘাম তার সঙ্গেই জল জমে জমে চুলকানি কিংবা ফুসকুড়ি কিন্তু গরমের দিনে খুব স্বাভাবিক বিষয়। চিকিৎসকরা বলছেন এই জাতীয় ফাংগাল ইনফেকশন গরমে মারাত্মক বাড়তে পারে। ঘামের জামা পরে থাকতে থাকতেই কিন্তু অনেকের শরীরে নতুন করে এই রোগের সূত্রপাত হয়।
বিশেষ করে যারা খেলোয়াড় তাদের পায়ে দাদ, নখে ছত্রাক, ফুসকুড়ি, গোপনাঙ্গে সমস্যা খুব স্বাভাবিক। ডার্মাটফাইট কিংবা টিনিয়া পেডিস কিন্তু উদ্বেগের কারণ! শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ তুষার পারিখ বলছেন, যেখানে সহজেই ঘাম জমতে পারে যেমন পায়ের ভাঁজ কিংবা বগলে- এই ধরনের ফাংগাল সংক্রমণ দেখা যায়। এর থেকে চুলকানি, লালভাব, ফোলাভাব সৃষ্টি হয়। গরমে অত্যধিক আদ্রতা এবং ঘামের কারণে ছত্রাকের সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়। অনেক সময় ত্বকে কাটা কাটা ভাব কিংবা ত্বকের ফুসকুড়ি বেশি দেখা যায়।
অন্যদিকে আরেক বিশেষজ্ঞ প্রদীপ আলাতে বলছেন, ত্বকে ছত্রাকের বৃদ্ধি যেকোনও জায়গায় হতে পারে। সাধারণত এগুলি স্কিনে হালকা দাগ সৃষ্টি করে। এর থেকে জ্বলুনি অনুভূত হয়। ডাক্তারের পরামর্শে ওষুধ কিংবা ক্রিম লাগাতে হয় তবে স্টেরয়েড যুক্ত ক্রিম এড়িয়ে চলুন। যতদিন চিকিৎসক বলবেন সেই কোর্স কিন্তু সম্পূর্ন করতে হবে। অ্যান্টি ফাঙ্গাল সাবান এবং পাউডার ব্যবহার করতে হবে। তোয়ালে, পোশাক কখনোই অন্যের ব্যবহার করবেন না। দরকারে মোজা প্রতিদিন বদল করুন, বিছানার চাদর স্টেরিলাইজ করুন।
যে বিষয়গুলি মেনে চলবেন :-
- টাইট জামাকাপড় পড়বেন না, জিন্স এবং ঢাকা দেওয়া জুতোও বেশি পড়বেন না।
- হাতের নখ ছোট রাখুন।
- ঘামে ভেজা জামা বেশিক্ষণ পড়বেন না।
- নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখুন।
- বেশি পরিমাণে সেন্ট, পারফিউম এগুলো ব্যবহার করবেন না।
- সুতির পোশাক পরুন।
- বেশি তেল মশলা যুক্ত খাবার খাবেন না, প্যাকেটজাত খাবারও কম খান।
- যদি অত্যধিক মাত্রায় এই সংক্রমণ হয় তবে ডায়েটে রসুন যুক্ত করুন, এতে ভাল ফল হবে।