ওজন বেড়ে যাওয়ার পেছনে আসলেই কোনও কারণ কাজ করে কিনা সেটির সঠিক ব্যাখ্যা নেই। মানুষের শরীর বিভেদে এর পরিবর্তন হতে পারে। এবং সেই থেকে দেখা দিতে পারে নানা রোগের সমস্যা। আবার অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে সেই থেকেও পরবর্তীতে শারীরিক সমস্যা দেখা যায়।
তবে শুধু খাবার খেলেই যে পরবর্তীতে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে এই ধারণা কিন্তু একেবারেই ভুল। প্রচুর মানুষ এমন আছেন যাদের খাবার গায়েই লাগে না। কম করে বেশ কিছু কারণ আছে বিশেষ করে নারীদেহে যেই কারণেই ওজন বাড়তে পারে। যেমন :
মেনোপোজ :- হরমোনাল এই সমস্যায় নারীদেহে মাঝ বয়সেও ওজন বাড়তে পারে। এবং সেই থেকে pcos কিংবা pcod এই জাতীয় সমস্যা দেখা দেওয়া খুব সাধারণ বিষয়। মেনোপজের সময় সারা দেহের হরমোন এদিক ওদিক হয়ে যায়। যার থেকেই দেখা যেতে পারে ওজনের হেরফের।
স্ট্রেস :- অত্যধিক স্ট্রেস নিলে কিন্তু প্রচন্ড মাত্রায় ওজন বাড়তে পারে। কারণ স্ট্রেসের কারণে হরমোনাল সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেই কারণে বেশি মানসিক চাপ থেকে ওজন বাড়ার এই সমস্যা আলাদাই রূপ নিতে পারে।
ফ্লুইড ইনটেক :- শরীর ভাল রাখতেই খালি ফ্লুইড জাতীয় খাবার খান? জল কম খান? এবং এটাই হতে পারে সমস্যার প্রধান কারণ। যখন পেশী থেকে জল শোষিত হতে শুরু করে, তখন শরীরে জলের ঘাটতি দেখা যায়। এর থেকে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং হজমের সমস্যা দেখা যায়। এই জিনিসটি খুব খারাপ, চেষ্টা করতে হবে যেন সেইদিকে একটু খেয়াল রাখতে পারেন।
অসময়ে ঘুম এবং খাওয়া :- অসময়ে ঘুম এবং খাবার খাওয়ার সমস্যা ভীষণ মাত্রায় সমস্যায় ফেলতে পারে আপনাকে। বিশেষ করে যারা রাত্রে ৭/৮ ঘণ্টা আসলেই ঘুমান না তাদের মধ্যে এই জাতীয় সমস্যা দেখা দিতে পারে। এর থেকে চোখ মুখ ফুলে যাওয়ার সঙ্গেই ওজন বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে।
ঋতুস্রাবের গরমিল :- চিকিৎসা শাস্ত্র বলে, ওজন বাড়ার এই বিষয়টিও কিন্তু নির্ভর করে মেনস্ট্রুয়েশনের ওপর। এই সময়ের ধারে কাছে এলেই ওজন কিছুটা বেড়ে যায়। বিশেষ করে জলের ঘাটতি দেখা যায় এই সময়। শরীরে অনেক ধরনের পরিবর্তন হতে পারে তাই যত্নে থাকা প্রয়োজন।