সিদ্ধিদাতার পুজোর এই বিসর্জন রীতি খুব গুরুত্বপূর্ণ। গণেশ চতুর্থীর তৃতীয়, পঞ্চম এবং সপ্তম দিনে গণেশ বিসর্জন পর্ব হয়ে থাকে। অনেকে গণেশ পুজোর পরের দিনও ঠাকুর বিসর্জন করে থাকেন। দঘিকর্মার পর বিকেলে গণেশ প্রতিমা বিসর্জনের জন্য নিয়ে যায়।
গণেশ বিসর্জনের শুভ সময়-
- ২১ সেপ্টেম্বর, ভোরের মুহূর্ত- ০৩:২৯ থেকে ০৪:৫৮
- বিকেলের মুহূর্ত - বিকেল ০৩:৩৪ থেকে ০৬:৩৭
- সন্ধ্যার মুহূর্ত- ০৮:০৬ থেকে ১২:৩২
বিসর্জনের নিয়ম-
গণেশজির পুজোয় দেওয়া সামগ্রী গুলি (পান, সুপারি, মোদক, দুর্বা, নারকেল) মূর্তির সঙ্গে বিসর্জন দিতে হবে। নারকেল না ফাটিয়ে জলে ভাসান। গণেশ মূর্তিকে ধীরে ধীরে বিসর্জন দিন। যদি ঘরে প্রতিমা বিসর্জন করেন তাহলে মূর্তির থেকে বড় আকারের পাত্র নিন, তাতে এতটাই জল দিয়ে ভরে রাখুন যাতে মূর্তি ভালো করে ডুবে যায়। এরপর পবিত্র জলটিকে কোনও গামলা বা পবিত্র গাছের শিকড়ের নীচে ফেলে দিন। এই জলে যেন কোনওভাবে পা না লাগে বা অশুদ্ধ যেন না হয়।
অনন্ত চতুর্দশী কী?
মহারাষ্ট্র সহ দেশের বিভিন্নপ্রান্তে অনন্ত চতুর্দশী তিথিতে ১০ দিনব্যাপী গণেশোৎসবের পর বিসর্জন হয়ে থাকে। পুরাণ মতে মহর্ষি বেদব্যাস গণেশ চতুর্থীর দিন থেকে গণেশকে মহাভারতের কাহিনি শোনানো শুরু করেন। লাগাতার ১০ দিন বেদব্যাস চোখ বন্ধ করে গণেশকে সেই কাহিনি শোনান। বিশ্রাম না-করেই গণেশ মহাভারত লিখতে থাকেন। ১০ দিন পর কাহিনি শেষ হওয়ায় বেদব্যাস চোখ খুললে, দেখেন একটানা লিখে যাওয়ার কারণে গণেশের শরীরের তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। সে সময় গণেশের শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক করতে বেদব্যাস তাঁকে পুকুরের জলে স্নান করান। এরপরই গজাননের শরীরে তাপমাত্রা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসে। যে দিন গণেশকে স্নান করানো হয়, সেটি ছিল অনন্ত চতুর্দশী। সেই কারণে এই তিথিতে গণেশ মূর্তি বিসর্জন করা হয়।