কথায় বলে হার্ট ভাল তো তার সব ভাল। হৃদয়ের যন্ত্রণা হোক কিংবা হৃদরোগের সমস্যা, হার্ট যদি ভাল থাকে তবে শরীর কিন্তু একেবারেই চাঙ্গা। অনেকেরই হার্টের সমস্যা অল্প বয়েসেই দেখা যায় আবার অনেকে পরবর্তীতে ভোগেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে হার্টের নানা সমস্যা কিন্তু করোনা সংক্রমনের পরবর্তীতে দেখা দিচ্ছে। এবং সেটি চিকিৎসকদের মতে দেখা যাচ্ছে প্রচুর মানুষ এর দ্বারা আতঙ্কিত।
Advertisment
তবে আয়ুর্বেদ থাকতে কিন্তু একেবারেই চিন্তা নেই। বিশ্বের সবথেকে প্রাচীন এবং খাঁটি এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে সব সমস্যা থেকে রেহাই সম্ভব। যেমন? ধারণা দিয়েছেন পুষ্টিবিদ এবং বিশেষজ্ঞ নীতিকা কোহলি। তিনি বলছেন, শরীরের সুস্থতা কামনা করতে গেলে হার্ট রেট এবং একে চাঙ্গা রাখা খুব দরকার। নইলে কিন্তু শরীরের অন্যান্য অর্গান তাড়াতাড়ি খারাপ হতে শুরু করে। প্রতি মিনিটে কতবার হার্ট বিট করতে পারে সেটির পরিমাপ রাখা অবশ্যই উচিত।
সঙ্গেই তিনি আরও বলেছেন সুস্থ সবল হার্ট সম্পূর্ণ শরীরকে সুস্থ রাখতে বেশ সাহায্য করে। শারীরিক দুর্বলতা রোধ করতে, কার্ডিওভাসকুলার ফিটনেস বজায় রাখতে হার্ট রেট ভাল রাখা খুব দরকারী.... কীভাবে এটিকে সবল এবং সুস্থ রাখা সম্ভব?
হৃদ্য অনুশীলন করতে হবে। এর সংযোগ রয়েছে হৃদয়ের সঙ্গে। সহজ ভাষায় প্রাণায়াম তথা অনুলোম বিলোম। আয়ুর্বেদের ভাষায় বলা হয় প্রাণ এবং ত্রী মর্মের যোগ রয়েছে।
অনেকেই আজকাল নানা দিক বিবেচনা করে বুকের কাছে হিট প্রদানকারী বেল্ট কিংবা তাপ বেশিক্ষণ না রাখাই ভাল। এতে হার্টের ক্ষতি হতে পারে। কিংবা মোবাইল ফোন এর ভাইব্রেশন এর থেকেও দূরে থাকুন। চেষ্টা করবেন যেন এই জাতীয় সমস্যা গুলি না হয়।
বাইরের কিংবা বাজারজাত ঘি নয়। বাড়িতে বাড়ানো ঘি সপ্তাহে তিনদিন খেতেই হবে। এতে শরীরে সঠিক মাত্রায় ফ্যাট থাকে।
সবসময় মনে রাখবেন অতিরিক্ত গরম জামাকাপড় আপনার শরীরের প্রদাহকে গরম করে তুলতে পারে। সুতরাং সেই থেকেও হার্টের সমস্যা বাড়তে পারে। অনেকসময় ঘুমের ঘোরেই শরীর আপনার থেকে গরম হয়ে যায়, এক্ষেত্রে নজর রাখুন।
হার্টের পক্ষে সব উপকারী খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে একটি হল পান। সকাল বেলা হোক কিংবা দুপুরে খাবার খাওয়ার পরে এটি কিন্তু আপনার পক্ষে লাভদায়ক।
সারাদিনে নিজের সু অভ্যাস অনুশীলন করতে হবে। সেটি স্পিরিচুয়াল অ্যাক্টিভিটি হোক কিংবা নিজেকে সুন্দর এবং পরিস্কার রাখা, রোগ থেকে দূরে থাকা। এবং অবশ্যই পজিটিভ মনোভাব বজায় রাখা।