বয়স বাড়লে চুল পাকার সম্ভাবনা খুব স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এমন অনেকেই আছেন যাদের চুল অল্পতেই পেকে যাচ্ছে, আর মন খারাপের অন্ত নেই একেবারেই। বলাই বাহুল্য চুল মানুষের খুব পছন্দের জিনিস, এটি সৌন্দর্য্যের সঙ্গে সঙ্গে নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। আর সেই চুল যদি অকালে পেকে যায় তাহলে একবার ভাবুন তো?
চুল পাকার বিষয়টি কিন্তু আপনার জেনেটিক্স বিষয় ছাড়াও চারিপাশের জল, প্রকৃতি এসবের ওপরেও নির্ভর করে। চুল পেকে যাওয়ার সঙ্গেই কিন্তু অনেকে এমন আছেন যাদের চুল ঝড়ে পড়তে থাকে। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা নিতিকা কোহলি এর সম্পর্কে ধারণা দিয়েই বলেন, যদিও বা এখন অনেক অল্প বয়সি লোকজনও ধূসর কিংবা পাকা চুলকে ইন-ফ্যাশন মনে করেন, তারপরেও এই নিয়ে আতঙ্কিত মানুষজন কিন্তু কম নেই।
সঙ্গেই তিনি আরও বলেন, যারা একেবারেই ধূসর চুল পছন্দ নয় তাদের কাছে এই বিষয়টি খুব কষ্টকর। পাকা চুল লোকানোর এক অশান্তি তেমনই অল্প বয়স থেকেও নানানরকম চুলের রং তার মধ্যে থাকা কেমিক্যাল আপনার চুলকে আরও ক্ষতিগ্রস্থ করে তুলতে পারে। তাই আয়ুর্বেদের সাহায্যেই একে রক্ষা করুন।
প্রথম, পেঁয়াজ ভাল করে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এর থেকে রস বার করে নিয়ে সপ্তাহে দুইদিন চুলের স্ক্যাল্পে লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট মত। ধুয়ে নিন শ্যাম্পু দিয়ে।
দ্বিতীয়, বাড়িতে নিশ্চই ঘি রয়েছে। বেশি কিছুই না সময়করে সপ্তাহে দুইদিন ঘি দিয়ে ভাল করে চুল এবং স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন। দেখবেন অল্পদিনেই চুল যেমন স্মুথ হবে তেমনই কালো।
তৃতীয়, মুঠো ভরে কারিপাতা নিয়ে বেটে নিন। আধা কাপ দই এর সঙ্গে মিশিয়ে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট পর্যন্ত রেখে দিন, ধুয়ে ফেলুন।
চতুর্থ, সবসময় চুলে ব্লিচ করা, রং লাগানো, অথবা গরম স্ট্রেটনার, ড্রায়ার এগুলি ব্যবহার করা উচিত নয়। এগুলি সম্পূর্ণ ভাবে চুলের ক্ষতি করে।
পঞ্চম, ভৃঙ্গরাজ গাছের পাতা ভাল করে বেটে নিয়ে তার সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে নিন। একটু ঠাণ্ডা হলে সেটিকে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। চুল ধূসর তো হবেই না সঙ্গে দারুণ শক্ত হবে।
এছাড়াও চুল এর হাত থেকে বাঁচাতে বেশ কিছু অভ্যাসে বদল আনতে পারেন। যেমন ধূমপান করা, সূর্যের আলো থেকে বাঁচানো বিশেষ করে ভেজা চুল। সঙ্গেই সবসময় চুল শক্ত করে বেঁধে রাখা এটিও বন্ধ করুন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন