দিনের পর দিন পরিশ্রম আর সঙ্গে মানসিক চাপ এবং শারীরিক ক্লান্তি সব মিলিয়ে জীবন একেবারে জেরবার। শ্বাস ফেলার মত সময় নেই, আর নিজের মত সময় কাটানো তো দূরের গল্পঃ। এমনকি সপ্তাহের একটি ছুটির দিনেও নিজস্ব কাজ করতে গিয়েই সময় জলের মত বয়ে যায়। অতিরিক্ত ক্লান্তি থেকেই মেজাজ এবং সেই থেকে পারিবারিক এবং কর্মক্ষেত্রে অশান্তি। কিন্তু উপায় আদৌ কিছু আছে কি?
একে সময়ের মারপ্যাঁচ তারপরে করোনা আবহ। একাকীত্ব ভীষণ ভাবে গ্রাস করেছে মানুষের জীবন এবং মন কে! এমতাবস্থায়, মন খারাপ হওয়া খুব স্বাভাবিক। পুষ্টিবিদ লভনীত বাত্রা বলেন, এই সমস্যা বর্তমান সময়ে দাড়িয়ে খুব স্বাভাবিক। কিন্তু এর থেকে নিজেকেই বের করে আনতে হবে। প্রতিদিনের একই রুটিন, একই কাজ একঘেয়েমি ছেড়ে দিয়ে নিজের মত করে সময় কাটানোর, বলা উচিত একটু ছুটি নেওয়ার প্রয়োজন আছে। কারণ ক্লান্তি দুর না হলে কোনও কাজেই মন বসানো সহজ নয় এবং তাতে ভূল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি!
তাহলে কী করতে হবে?
তিনি বলেন, সবসময় তো বড় কোনও ছুটি বা দূরে কোথাও ভ্রমণের সুযোগ হয় না তাই অল্পের মধ্যেই খুশি খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করা উচিত!
• সমস্ত ইলেকট্রনিকস গ্যাজেট এক্কেবারে শাট ডাউন করেই খোলা হাওয়ায় মুক্ত পৃথিবীতে বাঁচা উচিত। যাতে কোনোভাবেই অন্য দিকে মনোযোগ না যায় সেই চিন্তা করুন।
• আপনি জানেন কোন জিনিসটি আপনার সবথেকে বেশি পছন্দ, অথবা ভীষণ খুশি হয়ে যান। বাইরে ভ্রমণ হতে পারে, গান হতে পারে, চকোলেট হতে পারে যা কিছু! যেটি আপনি ভালোবাসেন সেটিই করুন।
• একদিনের জন্য সব দুশ্চিন্তা নেগেটিভ ভাবনা দূরে সরিয়ে প্রাণ ভরে উপভোগ করুন। নিজেকে নতুন করে খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করুন।
• একদিন তাড়াহুড়ো করে না খেয়ে শান্তিতে বসে খাওয়ার তৃপ্তি নিন। পরিবারের সঙ্গে একত্রে বসে খাওয়ার, কিছু স্মৃতি ভাগ করে নেওয়ার মজাই আলাদা।
• যে জিনিসে আজ অবধি আপনি একটুও নজর দেননি সেটির দিকে একটু লক্ষ এবং দৃষ্টি দিন। সেটি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করুন নিজের মতামত বাড়িয়ে তুলুন।
• আচ্ছা, একদিনও ইচ্ছে করে না নিজের পুরনো দিনগুলিকে ফিরে পেতে! শৈশবের বাহুডোরে আরেকবার নিজেকে ফিরিয়ে দিন। কথায় বলে শিশুমন সকলের মধ্যে থাকে। সেটিকে পুনরায় জাগিয়ে তুলুন!
একদিনে একটি খুশি থাকুন, এর রেশ অনেক দিন থাকবে!
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন